প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
চারদিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফর ও বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট তাকে নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন ত্যাগ করে।
ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলীকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এর আগে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন।
টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম ভারত সফরকালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রোববার নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। শেখ হাসিনা একই দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সন্ধ্যায় আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নয়াদিল্লিতে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার ২০১৮’ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা তাজমহল হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার প্রদান করে।
এর আগে রোববার সকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে শেখ হাসিনা একটি সরকারি মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন এবং হায়দরাবাদ হাউজের দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।
চারদিনব্যাপী সফরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে বাংলাদেশবিষয়ক কান্ট্রি স্ট্রাটেজি ডায়ালগে যোগ দেন।
ওইদিন তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হলে তার সম্মানে একটি সংবর্ধনা এবং বাংলাদেশ হাউজে একটি নৈশভোজে যোগ দেন। ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এ নৈশভোজের আয়োজন করে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ভারতের শীর্ষ স্থানীয় সিইওদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এছাড়া তিনি ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমাপনী অধিবেশনেও যোগ দেন।
সিঙ্গপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সোয়ি কিট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে ৩ অক্টোবর সকালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে চারদিনের সফরে ভারতে যাওয়ার পরই শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
Leave a Reply