সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম।। পঞ্চম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ। এরপর জেলা শহরের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে সমাজবিজ্ঞানের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) হয়ে নিয়মিত বেতনও তুলছিলেন। কিন্তু একযুগ পর জানা গেলো ওই শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদই জাল।
এমন ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রাম শহরের মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে। ৮ আগস্ট বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) তাদের ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খাজা শরিফ উদ্দিন আলী আহমেদ রিন্টু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ওই কলেজ শিক্ষকের নাম মোছা. ইফ্ফাত আরা সরকার। তিনি মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) পর্যায়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক।
এনটিআরসিএ’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সনদটি সঠিক নয়। সনদটি জাল ও ভুয়া। বিজ্ঞপ্তিতে প্রকৃত সনদধারীর নাম ও ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বর্ণিত তালিকায় সনদধারী জাল/জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে দালিলিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ওই জাল ও ভুয়া সনদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করে এই প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খাজা শরিফ উদ্দিন আলী আহমেদ রিন্টু বলেন, ‘এনটিআরসিএ’র পত্রের ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে মিটিং করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply