কপোত নবী, নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট ইউনিয়নে টেলিটক টাওয়ার স্থাপনের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভোলাহাটের জনগণকে টেলিটকের সেবা নিতে হলে তাকে যেতে হয় দীর্ঘ ২০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে রহনপুর অথবা ৩০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে । এখানে নতুন টাওয়ার নির্মাণ হলেই এ সমস্যা কেটে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হতে ভোলাহাট উপজেলাটি শিবগঞ্জ ও পূর্ব দক্ষিণে গোমস্তাপুর উপজেলা। জেলা সদর হতে ভোলাহাটের দুরত্ব প্রায় ৫৬ কি. মি.। এ উপজেলার মোট আয়তন ১২ হাজার ৩৫২ কি. মি.। ভোলাহাটের মোট ইউনিয়ন ৪টি। জনঘনত্ব এলাকাটির লোকজন বলা যায় আমের উপর নির্ভরশীল, তবে রেশম এখনও বেঁচে আছে এই উপজেলায়।
সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় নেই পৌরসভা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫ টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট্ট একটি উপজেলা ভোলাহাট। বাংলাদেশ সরাকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকলেও ছোট এই উপজেলায় এখনও টেলিটক টাওয়ার স্থাপন হয়নি। সরকারি কিছু কিছু সেবা পেতে হলে টেলিটক সিম ছাড়া হবেনা অথচ টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিক বাংলাদেশ সরকার। টেলিটক সিমের মাধ্যমেই কলেজ/মাদ্রাসায় ভর্তির আবেদন, ফি পরিশোধ, সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি পরিশোধসহ নানা কাজ করতে হয় এই টেলিটক সিমের মাধ্যমে।
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিক বাংলাদেশ সরকার, যার যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালের ২৯ ডিসেম্বরে। এটি বাংলাদেশ সরকারের পাব্লিক কোম্পানি। নভেম্বর ২০১৭ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪র্থ বৃহত, যার সেবা গ্রহণ করছে ৪৪ লাখ ১৯ হাজার গ্রাহক। সরকার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করেছে কিন্তুু এখনও ভোলাহাটে টেলিটক সেবা থেকে বঞ্চিত ভোলাহাটের জনগণ। সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিটি গ্রামকে শহরের মতো সেবা দিয়ে গ্রামের মানুষকেও এগিয়ে নিতে, তাই সরকার শ্লোগান ঠিক করেছে “বাড়ছে সেবার বহর, গ্রাম হবে শহর”। ভোলাহাটে সরকারি সকল সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে অতি দ্রুত একটি টেলিটক টাওয়ার স্থাপন করা দরকার বলে মনে করেন ভোলাহাট উপজেলার সচেতন জনগণ, যুব সমাজ ও শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply