ফিরোজ আলম-নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী সামগ্রীর উপকরণ সহ ০২ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো ১। শ্রী বিশ্বজিৎ সরকার (২৮) পিতা- বলাই সরকার ও ২। শ্রী বিপ্লব সরকার (২৫), পিতা- বলাই সরকার, উভয় সাং-জয়কৃষ্ণপুর, থানা-দূর্গাপুর, জেলা-রাজশাহী। উল্লেখ্য যে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা জানতে পারেন যে, দুর্গাপুর থানাধীন জয়কৃষ্ণপুর গ্রামস্থ বিশ্বজিৎ সরকার এর বাড়িতে নকল প্রসাধনী উৎপাদন করা হয়। বিষয়টি রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অবহিত হন। এরপর রাজশাহীর সম্মানিত পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) স্যারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ডিবির ইন্সপেক্টর মোঃ আতিকুর রহমানসহ সঙ্গীয় টিম উক্ত অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা করে ১৬/০৯/২০২১ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকায় দূর্গাপুর থানাধীন জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের ধৃত আসামী বিশ্বজিৎ সরকারের বাসার নকল কারখানা হতে ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী ও তৈরির মেশিন, বিভিন্ন প্রসাধনী কেমিক্যাল দ্বারা তৈরী ক্রীম, বিভিন্ন কোম্পানির নকল খালি মোড়ক, খালি কাগজের প্যাকেট ও ক্রীম তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামালসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় এই চক্রের কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
জব্দকৃত আলামতের বিবরণ ঃ
(১) ০১টি স্টীলের তৈরী চার কোনা স্টানযুক্ত ভেজাল ক্রীম তৈরীর মেশিন।
(২) ০১টি হিট মেশিন।
(৩) ০১টি ক্লীপ ও একটি টাইট মেশিন।
(৪) ৩০টি কাগজের প্যাকেটের মধ্যে ঢুকানো অবস্থায় সাদা প্লাষ্টিকের কোটাতে পূন্য ভেজাল প্রসাধনী ক্রীম প্রতিটি প্যাকেটে ০৬টি করে মোট ১৮০টি ভেজাল ক্রীমের কোটা।
(৫) খাকী রংয়ের ৩৩টি কাগজের কাটুনের ভিতরে নকল লতা হারবাল প্রসাধনী ক্রীমের প্রতিটিতে ৪৮টি করে ভেজাল ক্রীমের কোটা।
(৬) নকল লতা হারবাল এর কাগজের প্যাকেট দুই বস্তা।
(৭) সাদা প্লাষ্টিকের খালি কোটা দুই বস্তা।
(৮) খালি বক্স দুই কাটুন। ম
(৯) খালি কাগজের প্যাকেট তিন কাটুন।
(১০) সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল ও মোড়ক মোট ০৭ বস্তা।
(১১) খাকী রংয়ের কাগজের বস্তায় সাদা পাওডার জাতীয় কেমিক্যাল ০২ বস্তা।
(১২) সাদা পলিথিনে মোড়ানো দানাদার সাদা রংয়ের কেমিক্যাল ৭ কেজি।
(১৩) ১টি স্টীলের ঢাকনা বিশিষ্ট হাতল যুক্ত ড্রাম।
(১৪) ৪টি প্লাষ্টিকের জারকিন প্রতিটিতে আনুমানিক ১০লিটার করে তরল জাতীয় কেমিক্যাল। মোট ৪০ লিটার।
(১৫) ২টি গ্যাস সিলিন্ডার যার একটি ৩৫কেজি অপরটি ১২ কেজি ও ১টি গ্যাসের চুলা।
(১৬) ১টি স্টীলের বালতি ও ২টি পাতিল। মূল্য অনুমান ১,০০০/- টাকা।
(১৭) ডেলিভারী চালান কপি ০৫ পাতা।
(১৮) ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত একটি রেজিঃ বিহীন মোটরসাইকেল।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রাজশাহী মোঃ ইফতে খায়ের আলম।
Leave a Reply