চারঘাট প্রতিনিধিঃরাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদা খানাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল মুনিম একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভারতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে দেশের ৭নং সেক্টর কাজীপাড়া ভারত অধিনস্থ ছিলেন বলে জানান। বিভিন্ন সমস্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ইতিপূর্বে কখনও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য চেষ্টা করেন মুনিম।
তবে বর্তমান সরকার বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভূক্তির আবেদন করার সুযোগ দেওয়ায় নিজের নাম অর্ন্তভূক্তির জন্য দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
একান্ত সাক্ষাৎকারে আব্দুল মুনিম বলেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী (সরদহ) এর অস্ত্রাগারে গিয়ে অস্ত্র এবং গোলাবারদ বিভিন্ন ঘরে ভাগ করে রেখেছি। যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল পুলিশ একাডেমীর নিচে পদ্মার চরে পাক বাহিনী কর্তৃক গনহত্যার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে আমি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রায় সাত মাস রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম হয়।
তবে এত সব তথ্য এবং উপাত্ত মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বরাবর আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাইনি বলে দাবি করেন মুনিম।
তিনি আরো জানান, আমার সহযোদ্ধা সাত জন বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেক নেওয়াজ গেজেট নং রাজঃ ৫০৬, নজের আলী গেজেট নং রাজঃ ৬৫৭, আঃ মোতালেব গেজেট নং রাজঃ ১৭৪৮ ও সেরাজসহ অংশ গ্রহণ করেছি এবং তারা সবাই আমার সার্টিফিকেট পাইয়ে দিতে সুপারিশ ও নিজ হস্তে স্বাক্ষর প্রদান করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নজের আলী বলেন, সহযোদ্ধা আব্দুল মুনিম একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন অন্যতম সংগঠক ও অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে তার নাম বাদপড়ায় আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুনিমের নাম অর্ন্তভক্তির করার জোর দাবি জানায়।
Leave a Reply