সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোরে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাড়ি নির্মান সামগ্রীর ভাড়া দেওয়ার নামে হেড মিস্ত্রিরি আলআমিন নামের এক ব্যক্তি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু টাকা না ৬ টির মত পরিপক্ব গাছ কেটে নিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন গাছ রোপনকারী শরিফুল। এতে করে বাড়ি পাওয়া ব্যক্তিরা চরম ক্ষুব্ধ। পৌর এলাকার আমশো আদিবাসী পাড়ায় ঘটে রয়েছে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। ফলে মিস্ত্রির আদায় করা টাকা ফেরত ও গাছ বিক্রির টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকার আমশো আদিবাসী পাড়ায় ৬ টির মত আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর নির্মান করা হচ্ছে। বাড়িগুলো নির্মানের জন্য পরিপক্ব একটি নিম গাছ, ৪টি আম গাছ ও একটি কালো আইসা গাছ কেটে নেন। ৬ টি গাছের বিপরীতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা দাম হবে বলেও নিশ্চিত করেন গাছ পরিচর্যা কারী শরিফুল। তিনি জানান, আমরা আমশো গ্রামে বসবাস করতাম। পরে আদিবাসী পাড়ায় বসবাস শুরু করি। ওই সময় আমার পিতা ভায়েরা গাছগুলো রোপন করেন। সে সময় থেকে গাছ দেখভাল ও যত্ন করে আসছি। আমার প্রতিবন্ধী ভাই রফিকুল কে সরকারি বাড়ি দেওয়া হয়। নির্মানকৃত বাড়ির কাজ চলমান রয়েছে। বাড়ির সামনে ও পিছনে গাছ ছিল, সেই সব গাছ কেটে নিয়েছেন মিস্ত্রিরি আলআমিন। শরিফুল আরো জানান, গাছগুলো না কেটে বাড়ি নির্মান করা যেত। গাছ কাটার পর আমি নিতে চাইলে মামলার ভয় দেখিয়ে সে নিয়ে নেয়। আমার প্রতিবন্ধী ভাই রফিকের কাছ থেকে ইট বালুর ভাড়া দিতে হবে বলে ৬ হাজার টাকা নিয়েছে। শুধু আমার ভায়ের কাছ থেকে না যে ৬ জনকে বাড়ি দিচ্ছেন সবার কাছ থেকে এভাবে টাকা তুলেছেন মিস্ত্রিরি
বাড়ি পাওয়া প্রতিবন্ধী রফিক জানান, ইট বালুর ভাড়ার জন্য টাকা নিয়েছিল মিস্ত্রী। কত টাকা জানতে চাইলে প্রথমে বলেন সরন হচ্ছে না, পরে বলেন ৫-৬ হাজার টাকা দিয়েছি।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমশো গ্রামের বাসিন্দা ইনতাজ মোল্লা জানান, ৬ টি বাড়ি থেকেই মিস্ত্রী আলআমিন ৫-৬ হাজার করে টাকা নিয়েছেন এটা সত্য ঘটনা।
পিআইও প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম জানান, যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি কেন অভিযোগ দিতে বলব জানতে চাইলে তিনি জানান আমি দেখছি। বিকেলের দিকে পিআইও মোবাইল করে এই প্রতিবেদক কে বলেন ঘটনাস্থলে এসেছি এমন কোন ঘটনা ঘটেনি অফিসে আসেন সরাসরি কথা বলা হবে। বুধবার সকালের দিকে অফিসে যাওয়া হলে তিনি জানান দুই ভায়ের দ্বন্দ্বের জন্য এসব অপপ্রচার করছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জানে আলম জানান, আমি তো দু’দিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি, সরকারি বাড়ি নির্মানের জন্য কোন টাকা নেওয়ার সুযোগ নাই। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রফিকুলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এমন ভিডিও এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
Leave a Reply