তানোর প্রতিনিধি: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সরকার গঠন করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। সব ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে,কারন আগামীর নির্বাচন হবে একটি চ্যালেন্জিং নির্বাচন, এজন্যই কে কি পেলাম আর পেলাম না সেটা নিয়ে ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দেশের স্বার্থে স্বাধীনতা রক্ষার স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোন কারনে শেখ হাসিনা সরকার না থাকলে আবার দেশে জঙ্গি বাদ কায়েম হবে, আর এটাই বাস্তবতা। দেশে এখন মুশতাকের অনুসারীরা আওয়ামী লীগ কে ধ্বংস করতে নানা পরিকল্পনা করছেন। মহামারী করোনা ভাইরাস ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ্বের মোড়ল দেশগুলো অর্থনীতিতে তাল মাতাল, তারাও কিভাবে এই মন্দা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে চিন্তায় বিভোর। আর আমাদের সরকার প্রধান বঙ্গ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামীণ দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য প্রতি মাসে ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ভাতা, অল্প মুল্যে দেশের প্রায় এক কোটির বেশি পরিবার কে বিশাল ভর্তুকির মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেওয়া, সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার জন্য ওএমএসের চাউল এবং গ্রামীণ মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় বিগত কয়েক বছর ধরে ১০ টাকা কেজিতে চাউল বিক্রি। অবশ্য এবার সেটাকে ১৫ টাকা কেজি ধরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাউল কিনতে হবে। এতকিছুর পরও আপনারা যদি আওয়ামী লীগের বা শেখ হাসিনার পক্ষে না থাকেন তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকার দেখবে। মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শনিবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলের দিকে তানোর মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে উক্ত বর্ধিত সভায় মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক ,উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী ও উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক রামকমল সাহা,প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মুন্টু, কাউন্সিলর নাহিদ হাসান, মুনসেফ আলী, আবু রায়হান তপন প্রমূখ।
Leave a Reply