সারোয়ার হোসেন: রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক কারবারি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন মোফা ফের মাদক জগতে তৎপর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি গতবারের(২৮ আগস্ট) প্রায় দেড় কেজি হেরোইন সহ র্র্যাবের হাতে আটক হয়ে জেলে ছিলেন এই মাদক কারবারি কাউন্সিলর মোফা। জেল থেকে বেরিয়ে এসে বছর খানিক লোক দেখানোর জন্য ভালোই ছিলেন,তবে অবৈধ টাকার লোভ তাকে আবারো টেনে নিয়ে গেছে মাদকের ভাগাড়ে। এবার নতুন কৌশল অবলম্বন করে চালাচ্ছেন রমরমা হেরোইনের কারবার।
এতোদিন থানা পুলিশের দালাল হিসেবে দাপটের সাথে মাদকের কারবার চালিয়ে আসলেও এবার অবৈধ টাকার বিনিময়ে ভোট চুরি করে গোদাগাড়ী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়েই প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নতুন কৌশল অবলম্বন করে দিচ্ছেন হেরোইনের বড় বড় চালান। তার দাপটে স্থানীয় বাসিন্দারাও থাকেন ভয়ে তস্ত। মাদক কারবারের পাশাপাশি থানার দালালি করেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোটিপতি বনে যান এই কাউন্সিলর মোফা বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে গোদাগাড়ী থানায় মোফার বিরুদ্ধে ডজন খানিক মাদকের মামলা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক কারবারিদের তালিকার মধ্যে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শীর্ষ কাতারে তার নাম রয়েছে। এছাড়াও কাউন্সিলর মোফার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী নির্যাতনের মামলা।
মোফার মাদক দিয়ে ফাঁসানো নির্যাতিত মিনা খাতুন বলেন, এসপির নির্দেশে গোদাগাড়ী থানার ওসি মামলা নিলেও নির্যাতনকারী মাদক সম্রাট মোফাকে কৌশল করে জামিনে বের হতে থানা পুলিশ সহযোগিতা করেছেন। জামিনে বের হয়ে এসে মোফা তাকে ঘরছাড়া করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আমার দুই সন্তানসহ আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ফলে ডিআইজি ও এসপির নিকট দুই সন্তানসহ নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন করে রেখেছেন মিনা খাতুন। গোদাগাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত নানা অপকর্মের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এই কাউন্সিলর মোফা বলেও অভিযোগ করেন মিনা খাতুন। গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিষাল বাড়ী গ্রামের বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা নামপ্রকাশে জানান, এই মোফার একসময় কিছুই ছিলোনা আর এখন হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। গোদাগাড়ী ও শহরে গড়ে তুলেছেন ফ্ল্যাট বাড়ি কিনেছেন দামী গাড়ি। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ জাগে, যে মোফা তিন বেলা ঠিক মতো ভাত খেতে পায়নি, আর সে কি ভাবে এতো অল্প সময়ের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক বুনে গেলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,রাতারাতি মাদকের কারবার করে এই মোফা কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। যা দুদক তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে মোফার সব সম্পদের পিছনে রয়েছে মাদকের টাকা বলে দুদকের তদন্ত দাবি জানান তারা। এসব বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন মোফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি,আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।
Leave a Reply