সোহেল রানা বাবু:
বাগেরহাটের মোল্লাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের নতুন এ্যাম্বুলেন্সের পাঁচটি চাকা, মোবিল চেম্বার সহ বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে রোগী বহনকারী সরকারী এ্যাম্বুলেন্সটির সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে মুমূর্ষ রোগীরা। দেড় বছর ধরে দুই তিন দফায় চুরির ঘটনায় থানায় ডায়রি হলেও চুরির কোন রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি পুলিশ ও স্বাস্থ্যবিভাগ ।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সেবা নিশ্চিতে ২০২১সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারের দেয়া অত্যাধুনিক মানের এ্যাম্বুলেন্সটি মোল্লাহাট স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে আনার পর থেকে অদ্যবধি না চালিয়ে একটি ভাঙ্গাচোরা গ্যারেজে রাখা হয়।এর কয়েকদিনের মধ্যে গ্যারেজের দরজার লোহার রড কেটে পাঁচটি চাকা চুরি করে নিয়ে যায় দূবৃত্তরা ।শুধু চাকা নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা, কয়েকদিনের ব্যাবধানে আবারো দুই দফায় এ্যাম্বুলেন্সের বাম পাশের দরজার গ্লাস ভেঙ্গে গাড়ির ভেতরের অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফায়ার এন্টিগুইসার সিলিন্ডার, ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারি, মবিল চেম্বারের ঢাকনাসহ অধ্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্সটির কয়েক লাখ টাকার মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় । তবে রহস্যজনক এত বড় চুরির ঘটনায় মামলা হয়নি থানায় । দায় এড়াতে থানায় সাধারন ডায়রি করেছে কতৃপক্ষ । পুলিশও বিষয়টিকে তদন্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে । এদিকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োজিত দুইজন নৈশ প্রহরী থাকলেও, ১১ মাস বেতন না পাওয়ায় তারা দায়িত্ব পালন করেন না।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোছাঃ মাহফুজা খাতুন বলেন
আমি যোগদানের পূর্বেই এ্যাম্বুলেন্সটির চাকা চুরি হয়, পরে আবারও কিছু মালামাল চুরি হয়। আমরা মোল্লাহাট থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি। গ্যারেজটা খুবই ঝুকিপূর্ন এবং চাকা না থাকায় এ্যাম্বুলেন্সও সরানো যাচ্ছে না। এছাড়া আমাদের এ্যাম্বুলেন্স চালক ও নৈশ প্রহরী নেই। এসব বিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা: মো: জালাল উদ্দিন জানান সীমিত আকারে সেবা চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছি ।
পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান ইতি মধ্যে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি । তদন্তের পর দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে সে যেই হোক না কেন। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের এই সমস্যা সমাধান ও চুরি যাওয়া মালামাল ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক এই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
Leave a Reply