তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহী-১ ভিআইপি এই সংসদীয় আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনায় উঠে এসেছে গোলাম রাব্বানীর নাম। তবে আলোচনা ইতিবাচক নয় নেতিবাচক। জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ফের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। তানোরের দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন (ইউপি) এবং গোদাগাড়ীর দুটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নের (ইউপি) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল সাংগঠনিক কোনো নেতাকর্মী তার সঙ্গে নাই, তাহলে তিনি ভোট করবেন কাদের নিয়ে? আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। দলের যে কেউ মনোনয়ন চাইতে পারে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করে নির্বাচনী প্রচারণার নামে দলীয় এমপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করা কি একই বিষয়? বিতর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেয় তিনি মনোনয়ন পাবেন, তাহলে তিনি কি ফারুক চৌধুরীকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। যদি সেটা না হয় তাহলে তিনি এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেনো প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। তার প্রধান কাজ হলো নৌকার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা, তবে তিনি সেটা না করে দলীয় এমপির বিরুদ্ধে লাগাতার প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে গোলাম রাব্বানী দুবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে দুবারই বিএনপির দুর্বল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তাহলে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে এমপি নির্বাচনে বিজয়ী হবেন কি ভাবে, না কি তিনি জেগে জেগে খোয়াব দেখছেন। তার এসব দেখে অনেকে বলছে, ‘সুপারি গিলতে পারে না, নারিকেল গেলার সখ’। আবার অনেকে বলছে তিনি যদি সত্যিই এমপি নির্বাচন করতে চান তাহলে তৃণমূলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা বা কর্মীসভা করে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার পাশপাশি আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও অর্জনের চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে নৌকার পক্ষে জনমত গড়তে কাজ করুক। তিনি মমোনয়ন পেলে তো তৃণমূলের এসব নেতাকর্মীরাই ভোট করবেন।
সূত্র জানায়, রাজশাহী-১ আাসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নাই, তেমন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠার সেই সম্ভবনাও নাই। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশস্ত ও পরীক্ষিত সৈনিক তৃণমূলের আস্থা এবং ভরসার প্রতিক এমপি ফারুক চৌধূরী আবারো আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন সেটা নিশ্চিত। অথচ কোনো ভাবেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও একশ্রেণীর বগী নেতা এমপি ফারুকের মনোনয়ন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে মাঠে নেমে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো মাঠ নস্ট করছে। এসব দেখে তৃণমূল এদের কুঁয়োর ব্যাঙ হয়ে সমুদ্র জয় বা সুপারি গিলতে পারে না নারিকেল গেলার সখ’ বলে অভিহিত করেছে।
সচেতন মহলের ভাষ্য, কুঁয়োর ব্যাঙ যখন ডোবায় যায় তখন সে মনে করে মুঁই কি হনো-রে, আবার ডোবা ছেড়ে পুকুরে গেলে নিজেকে মনে করে রাজা, আবার পুকুর থেকে খাল-বিলে গেলে নিজেকে মনে করে জগত সেরা। কিন্ত এর পরেও যে নদী, সাগর বা মহাসাগর রয়েছে সেটা সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই থাকে না। আর বিপত্তী সৃষ্টি হয় তখনি যখন কুঁয়োর ব্যাঙ খাল-বিলছেড়ে নদীতে যায়। কারণ কুঁয়োর ব্যাঙ সর্বোচ্চ থাল-বিলে যেতে পারে নদীতে যাওয়ার মতো সামর্থ নাই, কেনো না নদীতে স্রোত রয়েছে যেকোনো সময় টেনে নিয়ে যেতে পারে, রয়েছে হাঙ্গর-কুমিরসহ নানা প্রজাতির হিংস্র প্রাণী যাদের মোকাবেলা করে টিকে থাকার মতো কোনো সামর্থ্য নাই কুঁয়োর ব্যাঙের। অথচ এর পরেও তো রয়েছে সাগর ও মহাসাগর ইত্যাদি। রাজশাহী জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সহযোগেী সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে না থাকলেও তারা এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করায় তাদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এসব আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।
Leave a Reply