সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম।
কুড়িগ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেতার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে স্বশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎকধীন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬জনকে গ্রেফতার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম লিটু ও চাচাতো ভাই হেলাল সিদ্দিক আবুর সাথে একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি রফিক উদ্দিন জাহাঙ্গীরের সাথে জমিজমা বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধ স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে সমাধান করা হলেও তা কোনভাবেই তোয়াক্কা করেন না ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি। এরই এক পর্যায়ে ২৭মে সন্ধ্যায় রফিক উদ্দিন জাহাঙ্গীর গং বহিরাগত প্রায় দেড় শতাধিক দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাচুর এবং লুটপাট চালায়। এতে ফ্রিজ, ল্যাপটপ, থাই গ্লাসের দরজা-জ্বানালা ভেঙে তছনছ করে। এ সময় জহুরুল ইসলাম লিটুর স্বজনরা এগিয়ে আসলে হেলাল সিদ্দিক আবু, দীনা বেগম, আয়শা বেগম, আফসানা বেগম ও নারীসহ ৫জনকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। পরে সন্ত্রাসীরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহুরুল হক লিটু ও চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে থাকা ব্যবাসায়িক পঁচিশ লাখ টাকা লুট করে ঘটনাস্থল থেকে ছটকে পড়ে।
পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত পাঁচ জনের মধ্যে আয়শা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
কুড়িগ্রাম স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম লিটু জানান, সন্ত্রাসীরা আকস্মিকভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পরিবার এবং আমার চাচার পরিবারের হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদেরকে আহত করে এবং ভাঙচুর চালিয়ে বাড়িতে থাকা ঠিকাদারী কাজের ২৫ লাখ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া আমার চাচির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কথা হলে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এম.আর সাঈদ জানান, ইতোমধ্যে মামলা রুজু হয়েছে এবং অভিযুক্ত ৬জন আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply