তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মান্দার তেতুলিয়া ইউনিয়ন (ইউপির) অন্তর্গত শালদহ বিল সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইজারা নিয়ে মাছ ছাড়ার পর প্রতিপক্ষরা চুরি করে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও পাহারাদার কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ জুলাই রাতে ঘটে মাছ চুরির ঘটনাটি।
এঘটনায় ইজারাদার শালদহ গ্রামের মৎস্য চাষী উৎপল কুমার বারিক বাদি হয়ে পলাশবাড়ী গ্রামের বকুল কুমার, এইক গ্রামের সুজন, রুয়াই গ্রামের দিলিপ কুমার,শালদহ গ্রামের বাসুদেব, একই গ্রামের সুনান্দনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে চলতি মাসের শুরুর দিকে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দেয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা নানা ভাবে হুমকি প্রদান করছেন বলে নিশ্চিত করেন ইজারাদারেরা। এতে করে উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেই সাথে ঘটতে পারে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে আশংকা করছেন মৎস্য চাষীরা।
অভিযোগে উল্লেখ, তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মান্দার তেতুলিয়া ইউপির শালদহ ১৬৬ নম্বর বিলটি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে বিল উৎরাইল সমবায় সমিতি লিমিটেড পান। তারা পেয়ে মৎস্য চাষী উৎপল কুমার বারিকসহ কয়েকজনকে ইজারা দেন। ইজারা নিয়ে বিলে বিভিন্ন প্রজাতির ২০ লাখ টাকার মাছ ছাড়েন। কিন্তু মাছ ছাড়ার পর থেকে কতিপয় অসাধু চক্র পলাশবাড়ী গ্রামের মৃত বিজয় কুমারের পুত্র বাবুল কুমার একই গ্রামের সতিশের পুত্র সুজন, রুয়াই গ্রামের মৃত কার্তিকের পুত্র দিলিপ কুমার,শালদহ গ্রামের কৃঞ্চ চরনের পুত্র বাসুদেব, একই গ্রামের মৃত কানাই লালের পুত্র সুনান্দন ও খুদু বারিকের পুত্র অর্জন বারিক,ভাঁরশো গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত নীলচাদের পুত্র উংগি, মোহাম্মাদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীরসহ ২৫/৩০ জন বাহিনী রাঁতের আধারে বিলের মাছ চুরি করেন।
ইজারাদার উৎপল কুমার বারিক জানান, শালদহ বিলটি দরপত্রের মাধ্যমে বিল উৎরাইল মৎস্য সমবায় সমিতি লিমিটেড পায়। তারা আমাদেরকে লীজ দিয়েছেন।আমরা সে মোতাবেক মাছ ছেড়ে চাষাবাদ করছি। কিন্তু বাবুল ও সুজনসহ অনেকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করছেন এবং গত ৩০ জুলাই রাতে মাছ মেরেছে। প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ তুলে নিয়েছে। তারা প্রতি নিয়তই হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। যদি সরকার উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে প্রায় সব খরচসহ ১৯ লাখের বেশি টাকায় লীজ হল কেন । তারা আইন কানুন কোন কিছুই মানবে না। অভিযোগ করার পর থানা পুলিশ এসে সতর্ক করে দিয়েছেন।
অভিযুক্ত বাবুল,সুজন সহ তারা জানান, বিলটি উন্মুক্ত থাকলে অনেকেই মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করত। সরকার লীজ দিয়েছে আপনারা লীজ বাতিল করেন জানতে চাইলে তারা কোন সদ উত্তর দিতে পারেন নি।
তদন্ত কারী কর্মকর্তা মান্দা থানার এস আই শামিম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল গিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও এমন ঘটনা ঘটলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply