সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহী-১( তানোর গোদাগাড়ী) আসনের এমপি আওয়ামী লীগের সাবেক জেলা সভাপতি ও সম্পাদক এবং সাবেক শিল্পপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারক চৌধুরীর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার জন্য এবং পারস্পরিক প্রতিহিংসা কার্যক্রমের চরম বিরোধী হওয়ার কারনে অহিংস রাজনীতির মাঠে পরিনত হয়ে আছে তানোর । যদিও দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সহিংসতার খবর পাওয়া গেলেও শান্তির জনপদে রুমান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন বরেন্দ্র ভূমির তানোর উপজেলার চৌরখোর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম শহীদ পরিবারের জমিদার সন্তান সাবেক সিআই পি ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বিগত ২৪ বছরে রাজনৈতিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাতির জনকের আদর্শ ও দেশরত্নের ডিজিটাল থেকে স্মার্টে রুপান্তর করতে হয় এমপি তার জলন্ত দৃষ্টান্ত। তবে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা নেতাদের বিশ্বাস আর আস্থাহীনতার কারন ও নৌকার সাথে বেইমানির জন্য নিজ দলের কতিপয় ত্যাগী তৃনমুল সেভেন স্টার নামক গুজব ছড়ানো ও তাদের মাধ্যমে তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হতেই আছেন এমপি। তারপরও বারংবার তিনি দলের স্বার্থে আগামীর চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনের জন্য নিজনিজ অবস্থান থেকে উন্নয়নের মহা বার্তা দিয়ে ভোটের মাঠে এক সাথে কাজ করার আহবান করছেন। এমপি পকেট বন্দি আ”লীগের কাছে বিক্রি না বলেই তাদের সাথে এত রাজনৈতিক ফারাক। কিন্তু এমপি হাটিহাটি পা পা করে বিএনপি জামাতের আতুর ঘর হিসেবে পরিচিত তানোর গোদাগাড়ী উপজেলা। সেই আতুর ঘর ভেঙ্গে ২৪ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা দিনের আলোর মতই জলজল করছে, সৃষ্টি করেছেন হাজারো নেতৃত্ব । তিনি রাজনীতিকে গুটি কয়েক ব্যাক্তির পকেট থেকে বের করে শতশত নেতাকর্মী বের করেছেন। যার অন্যতম উধারন সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে তানোরের জনপ্রতিনিধিদের একচেটিয়া দলীয় প্রার্থী কে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলেন। শুধু মাঠে ঘাঠে না জনপ্রতিনিধিও আ”লীগের বেশির ভাগ।
দলীয় সুত্র জানায়, রাজনীতিতে নেতৃত্ব পরিবর্তন না হলে সাংগঠনিক কার্যক্রম একগুয়েমি হয়ে পড়ে। তানোর উপজেলা আ”লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক মামুন দীর্ঘ দিন ধরে দলীয় পদ বগল বন্ধি করে ইচ্ছেমত কাজ চালিয়ে যেতেন। প্রথম অবস্থায় বিগত ২০১৭ সালের দিকে সভাপতি গোলাম রাব্বানী এমপি ভোট করবেন এজন্য তানোর গোদাগাড়ীতে ব্যাপকহারে গণসংযোগ শুরু করেন। তখন সম্পাদক আব্দুল্লা আল মামুন এমপির একনিষ্ঠ কাছের নেতা। রাব্বানীর রাজনৈতিক কর্মকান্ড ধ্বংসের জন্য যাযা করনীয় করেছেন মামুন। সেই সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রতীক চেয়ে ব্যর্থ হন।শুরু করেন সভাপতি রাব্বানীর সাথে আতাত। ২০২১ সালে ইউপি ভোটে রাব্বানী ও মামুন প্রকাশ্যে নৌকার বিপরীত অবস্থান নিয়ে সফল হননি। তবে যারা ভোট করেছে তাদের পকেট খোয়া গেলেও উনাদের পকেট ভরেছে ঠিকই বলেও অহরহ অভিযোগ ।
সম্প্রতি গোদাগাড়ীর এক সম্মেলনে নাকি এমপি ফারুক চৌধুরী পালিয়ে যান। এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন তথ্য বিভ্রাটের শিকার হয়েছেন তিনি। এর প্রতিবাদে তানোর আওয়ামীলীগ সংবাদ সম্মেলন করে এমপির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরী পালানোর নেতা না, যারা এসব অপপ্রচার করেছেন তাদেরকে বলতে চায় পালানোর ফুটেজ দেখান রাজনীতির মাঠ থেকে চলে যাব। তার এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন নি কেউ । তিনি আরো জানান, যারা ফারুক চৌধুরী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন তারা ভেবে দেখুন তিনি আওয়ামীলীগে আসার আগে কি করুন অবস্থা ছিল এলাকায় । এমপি এমন এক রাজনৈতিক নেতা দলকে এককভাবে পকেট বন্ধি করতে দেন না। তিনি নেতৃত্ব তৈরির কারিগর। সে উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, তিনি তানোরের অহংকার। তার মত যোগ্য নেতার জন্ম হয়েছিল বলেই বরেন্দ্রভূমির লাল পোড়া মাটির সন্তান মহান সংসদে। আমি আসা করব নিজেদের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি না করে এক কাতারে এসে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেই।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আ”লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন বলেন, যারা এমপির কাছে আসেনি তারা তার সম্পর্কে জানতে পারবে না। তিনি যে কত উদার মনের রাজনীতিবিদ সেটা বোঝা যাবেনা। তার ভিতরে কোন ধরনের প্রতিহিংসা নেই। বিগত সময়ে তানোর গোদাগাড়ী তে রাজনৈতিক হানাহানি দালালি মাস্তানি ব্যাপহহারে ছিল,এখন কোন কিছুই নেই।
গত সোমবারে থানা মোড়ের এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, বিগত ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ফারুক চৌধুরী এমপি হয়ে আছেন। কোন ধরনের মাস্তানি দাঙ্গা হাঙ্গামা কিছুই নেই। বিএনপির সময় ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তাদের অরাজকতা দেখেছি। ২০০৬ সালের দিকে প্রয়াত এমরান মোল্লার লোকজনকে থানার ভিতর থেকে ওই সময় গুলি করা হয়েছিল। মোল্লার অনুসারীদের নামে একের পর এক মামলা দিয়ে তানোরে রনক্ষেত্র তৈরি করেছিল। এসব ভুলে গেলে হবেনা। ফারুক চৌধুরী এমপি হওয়ার পর থেকে এধরণের অরাজকতার রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছেন। আমিও গোদাগাড়ীর রিপোর্ট দেখে হতবাক হলাম। কারন এমপি পালানোর মানুষ না। তিনিই যেন আগামীতে পুনরায় এমপি হয় সে দোয়াই করি। এহোটেল ব্যবসায়ী বিএনপি জামাত পন্থী তার মুখেই এধরণের কথা বের হচ্ছে, সেটা বুঝতে হবে ।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষক লীগ নেতা আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, ফারুক চৌধুরী রাজশাহী জেলার আওয়ামী লীগের ব্র্যান্ড। তার মাধ্যমে হাজার হাজার লোক তৈরি হয়েছে । তার মাধ্যমে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিছে। তিনি সব সময় চান ক্লীন ইমেজের ব্যক্তিরা রাজনীতিতে আসুক। আমি আগে ওয়ার্কার্স পার্টি করতাম, কিন্তু এমপির স্বয়ংস্পর্শে গিয়ে তার ভক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ করা শুরু করেছি।আসলেই রাজনীতিতে ফারুক চৌধুরীর বিকল্প নেই। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় বিগত ২০১১ ও ২০১৬ সালে তরুন বয়সে আমি কলমা ইউপির চেয়ারম্যান হয়েছি। তার দিক নির্দেশনায় এমন কোন জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন করিনি। তারই ইচ্ছায় বিগত ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছি। আওয়ামীলীগ সরকার থাকার পর বিগত ২০০৯ ও ২০১৪ সালে বিএনপির দখলে ছিল উপজেলা পরিষদ। শুধুমাত্র এমপি রাজনৈতিক বিচক্ষণতার কারনেই ২০১৯ সালে প্রথম বারের মত নৌকার চেয়ারম্যান হয়। যারা বিরোধীতা করছেন তাদেরকেও তো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। কিন্ত পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারেনি। আগামী জাতীয় নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জের সুতরাং সকল বিভেদ ভূলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান চেয়ারম্যান।
Leave a Reply