সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোর গোল্লাপাড়া হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এমনকি ইজারাদারের ইচ্ছে মতো খাজনা না দিলে দেয়া হয়না হাটে ব্যবসা করতে বসতে। এতে করে বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী গোল্লাপাড়া হাট টি ভাংতে বসেছে ইজারাদারের অতিরিক্ত চাঁদাবাজির জন্য। হাট ইজারার টোল আদায়ের জন্য নিদিষ্ট চার্ট তৈরি করে টাঙানোর নির্দেশ থাকলেও টাঙানো হয়না টোল আদায়ের চার্ট। গতকাল শুক্রবার গোল্লাপাড়া হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইজারাদারের লোকজনের এমন অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার দৃশ্য।
জানা গেছে, তানোর পৌরসভা থেকে গোল্লাপাড়া হাট টি প্রতিবছর টেন্ডার দেয়া হয়। তানোর পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে গোল্লাপাড়া হাট টেন্ডার দেয়া হয়েছে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। যা গত বছরে ছিলো ১৬ লক্ষ টাকা। তাও এবার হাট গুলো টেন্ডার দেয়া হয়েছে পৌর মেয়রের অনুগত কর্মীদের কে। যার ফলে,বিগত দিনের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি করে খাজনা আদায় করছেন ইজারাদাররা।
গোল্লাপাড়া হাটে আসা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন,এই হাটে একটি জানালা বিক্রি করলে খাজনা দেয়া লাগে ৪০টাকা,দরজা বিক্রি করলে ৮০ টাকা, টুল বিক্রি করলে ৪০,টাকা,খাট বিক্রি করলে ১৪০টাকা,১শ হাত বাতা বিক্রি করলে ৬০টাকা দিতে হয় ইজারাদারকে। এছাড়াও হোসেন আলী নামের আরেকজন জানান,একটি বালিহাস বিক্রি করলে খাজনা আদায় করা হচ্ছে ২০টাকা, পাতিহাস ১০টাকা,কবুতর ১০টাকা,বাদামের দোকানে ২৫টাকা, পিয়াজ মরিচ ৪০টাকা, ইদুর মারা বিষের দোকান থেকে ২৫ টাকা খাজনা আদায় করা হয়।
ফলে ইজারাদারের অনৈতিক মুনাফা অর্জনের জন্য অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের জন্য দিন দিন গোল্লাপাড়া হাটে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা আসা বন্ধ করে দিচ্ছেন। এবিষয়ে গোল্লাপাড়া হাটের সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হক বলেন, নির্ধারিত টোলের বাহিরে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা যাবেনা, যদি অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষ ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে কেউ রিসিভ করেননি।
Leave a Reply