নাচোল প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জমি দখল উদ্দেশ্যে চাঁদা দাবী, বিভিন্ন ফলের গাছ কর্তন ও বোমা বিস্ফোরনের অভিযোগে নাচোল থানায় নাচোলে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ও সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রয়েল বিশ্বাসসহ ২৬জনের নামে মামলা করেছেন পাহাড়পুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর ছেলে এস্তাব আলী। নাচোল থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামী পশ্চিম মির্জাপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম টুনা মেম্বারের বড় ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা ফরহাদ হোসাইন সবুজ(৩১)কে ২০ অক্টোবর আটক করেছে। নাচোল থানা সূত্রে জানাগেছে, মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন বিগত ০৪/০৫/২০২৩ইং তারিখে বেলা ১১টায় নাচোল উপজেলার মারকৈল মৌজার ১৭৪ খতিয়ানে ৩৮৫ দাগের আব্দুল কুদ্দুসের বর্গা চাষী এস্তাব আলীর ৩ বিঘার আম বাগান আসামী আব্দুল কাদের ১ লক্ষ ৫০হাজার চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে অন্যান্য আসামীগণ ১৫০টি কলার গাছ, ১৭০টি আমরুপালি গাছ ও ৮০টি মালটা গাছ কর্তন করে।যার ক্ষতির পরিমান ২ লক্ষ টাকা বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন। এলাকাবাসী জানাই আটক সবুজ বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যহার করে সন্ত্রাসী কার্যকালাপ পরিচালনা করতো। সবুজের পিতা টুনা মেম্বার মির্জাপুর স্কুলের তৎকালীন সভাপতি থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নিয়োগ বানিজ্য করতো করতো। স্কুলের সরকারী বই বিক্রির সংবাদ করায় স্থানী সাংবাদিক সোহেল রানাকে বেড়ক মারধর করে সবুজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ।সেই সাথে তার ক্যামেরা মোবাইল ভাংচুর ও ছিনতাই করে।সাংবাদিক সোহেলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসা নিতে হয়। পরে সেই বিষয়টি নাচোল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বসে তাকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সম্প্রতি কাতলা কান্দর গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে সিরাজুলকে চাকু মারায় শালিশে তাকে ৬০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কয়েকদিন আগে মির্জাপুর গ্রামের সেনামুলের ছেলে বাবরকে রাত ১২টার দিকে বাড়ী থেকে ডেকে মারধর করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাদীসহ সন্ত্রাসী কার্যকালাপের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করায় এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
Leave a Reply