বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক: শরীর সুস্থ রাখতে ফলের তুলনা নেই। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানো থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ফলের অবদান রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
এছাড়া ফলে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি থাকে।সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ সারানোর উপাদানও পাওয়া যায়। গবেষণা বলছে, যারা নিয়মিত ফল খান তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতাও ভাল থাকে।
অনেকে রাতে খাওয়ার পর পর আম খেতে পছন্দ করেন। কেউ বা মাঝরাতের হালকা খাবার হিসেবে আপেলকে বেছে নেন। অবশ্য ফলের চেয়ে ঝামেলামুক্ত হালকা খাবার খুব কমই আছে। কিন্তু দিনের যেকোন সময় ফল খাওয়া কি ঠিক?
প্রচলিত ভাষায়, দিনের যেকোন সময় ফল খাওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ঠিক নয়। বরং যখন-তখন সব ধরণের ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট খালি অবস্থায় বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ ফল খেতে পারেন । নির্দিষ্ট করে বললে, সকালে ফল খাওয়া ভাল। কারণ সকালে বিপাকক্রিয়া সবচেয়ে ভাল থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ফলের সুগার দ্রুত ভেঙে এর পুষ্টিগুণ পেতে শরীরকে সাহায্য করে। তবে খালি পেটে সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন-আঙুর , কমলা এসব খাওয়ো ঠিক নয়।
এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় ফল শরীরের যেকোন ধরণে সংক্রমণ কমায়, প্রদাহ সারায় এবং সেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করে। ফলকে শক্তির ঘর হওয়ায় ব্যায়ামের আগে ও পরে ফল বিশেষ করে আম এবং কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
রাতে ফল খাওয় কিংবা ঘুমানোর আগে ফল খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে রক্তে শর্করার বেড়ে যেতে পারে এবং ঘুমের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া ফলে ফাইবার থাকায় খাবার গ্রহণের ঠিক আগে বা পরে ফল খেতে হজমের সমস্যা তৈরি হয়।
সব ধরণের মৌসুম ফল খাওয়াই ভাল। ফলের সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পেতে তাজা ফল-মূল খেতে পরার্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা । অবশ্য কোনও কোনও ফলের জুস এবং শুকনো ফলও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
পিবিএ/এমএসএম
Leave a Reply