আগামী ৩১ মে পবিত্র মক্কা নগরীতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ মোট ১৪৮টি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে।
ওআইসি সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের জেদ্দায় সড়কগুলোতে ওআইসির দেশ সমূহের জাতীয় পতাকায় সুসজ্জিত করা হয়েছে। এবারের ওআইসি সামিটে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে প্রবাসীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।
প্রবাসীরা মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সমস্যার কথা সৌদি বাদশার কাছে তুলে ধরবেন। প্রবাসীদের একামা নবায়ন, লেবার বা মক্তব আমেল ফি যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে যার কারণে অসংখ্য প্রবাসী একামা নবায়ন না করে দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে।
প্রবাসী শাহ আলম সাফা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনে আমরা আশার আলোর চোখ দেখতে পাচ্ছি, আমাদের একামা নবায়ন সমস্যার ও মক্তব আমেল ফি নিয়ে সৌদি বাদশার কাছে ফি কমানোর জন্য অনুরোধ করবেন।
শাহেদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অহংকার আমাদের গর্ব, তিনি এখন বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি এখন বিশ্বনেতা। তার কাছে প্রবাসীদের চাওয়া হচ্ছে, তিনি যথাসাধ্য পূরণ করবে বলে আমরা আশাবাদী। বালাদিয়া কোম্পানিতে কর্মরত প্রবাসী নাজিম উদ্দিন বলেন, যেহেতু বিদেশে থাকি আমাদের সুখ দুঃখের খবর প্রধানমন্ত্রী নেবেন। আমাদের সুযোগ সুবিধার জন্য সৌদি সরকারের কাছে আবেদন জানাবে, বিদেশে আসতে অনেক টাকা লাগে অন্যান্য দেশের অনেক কম টাকা লাগে,আমাদের দেশের লোক যেন কম টাকা দিয়ে আসতে পারে আমরা এটাই চাই। সৌদি আরবে অনেক বাংলাদেশী আছেন যারা নামে বেনামে সৌদি কপিলের নামে ব্যবসা করে যাচ্ছেন কিন্তু তাদের বর্তমানে একামা নবায়ন কর্মচারী একামাসহ হাজার হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে যার ফলে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।
কমিউনিটি নেতা এম এ সালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সৌদি আরব আসছেন এতে আমরা প্রবাসীরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা আশা করবো, সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যে একটা টানাপোড়েন আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর তা সমাপ্তি ঘটবে এবং প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবী, প্রবাসে মৃত্যুবরণ করলে লাশ পাঠানো নিয়ে একটা জটিলতা দেখা দেয়। লাশ সরকারি খরচে দেশে দ্রুত সময়ের মধ্যে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় সে লক্ষ্যে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। কম খরচে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো এবং ফ্রি ভিসাই যেন কোন শ্রমিক না আসতে পারে তার জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়।
দক্ষ ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যেন নারী ও পুরুষ শ্রমিক পাঠান যাতে এখানে এসে সৌদি ভাষা বুঝতে পারেন এবং যেন কাজে যোগদান করতে পারবেন তথাপি যেন বেকার থাকতে না হয়। দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা আছে সৌদি আরবে। তাই সঠিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করার দাবী জানান প্রবাসীরা। প্রধানমন্ত্রী যেন প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলে প্রবাসীরা যেন তাদের সমস্যাগুলো থেকে বেড়িয়ে এসে কাজের মাধ্যমে নিজের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এই প্রত্যাশা এখন সৌদি প্রবাসীদের।
Leave a Reply