কয়েক দিনের টানা বর্ষণে কিছুটা বিরতি দেখা গেলেও দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বরং কিছু কিছু এলাকায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কোথাও কোথাও পৌর শহর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি আর উজানের পানিতে গাইবান্ধায় রেললাইন ডুবে যাওয়ায় ঢাকার সঙ্গে গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। জামালপুরের কিছু কিছু জায়গাতেও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সড়ক পথে অনেক জেলা-উপজেলায় যানবাহন চলাচল এখনো শুরু করা যায়নি। বন্যাদুর্গত কয়েকটি জেলায় কয়েকশ স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় বানভাসী মানুষ বন্যার কবল থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছেন। কিন্তু সেখানে পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রম প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে অভিযোগ করেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া লোকজন।
নেত্রকোনা সংবাদদাতা জানান, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। এতে বিভিন্ন উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। জেলার খালিয়াজুরী, মদন, আটপাড়া, বারহাট্টা, পূর্বধলা, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। জেলার কংশ নদ ও উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদীর পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেত্রকোনার বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার-ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়কে ২১ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯ শত ৬৩টি পুকুর তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১ হাজার ৩ শত ৪২ মেট্রিক টন মাছ পানিতে ভেসে গিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে বন্যার পানি প্রবেশ করায় দুঘর্টনার আশঙ্কায় এ পর্যন্ত ৩ শত ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ২শত ১৭টি গ্রামের ১৭ হাজার ৬ শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ায় অন্তত লক্ষাধিক নারী-পুরুষকে এখন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণের জন্য বানভাসিরা হাহাকার করছেন। এ পর্যন্ত যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একে বারেই অপ্রতুল বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লাসহ সব ক’টি উপজেলার ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ। বন্যার কারণে ৩৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১৯টি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৬টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৩টি, সদর উপজেলায় ৩টি ও জামালগঞ্জে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব এলাকায় ১২২টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রতিদিন বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল তলিয়ে এবার বন্যার শিকার হচ্ছে পৌর শহর। গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলা ভূমি অফিস। গত মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মিললেও বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
বন্যায় উপজেলার ২৫০টি মৎস্যখামার তলিয়ে গিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছ বেরিয়ে গেছে। বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ৪৫টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাত না থাকায় নিচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তিস্তা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া লোকজন গত মঙ্গলবার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেল ৩টা থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমা ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কসবা ও বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ১০/১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর রাতে উপজেলার চকবালু এলাকায় আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১শ’ ফুট জায়গা ভেঙে গেছে। এতে প্রায় ৬/৭ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই বাঁধ ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও প্রশাসন জানিয়েছেন।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের একটানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আত্রাই নদীর পানি মান্দা উপজেলার জোতবাজারে বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার ও পত্নীতলার উপজেলার শিমুলতলীয় ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া পরিষ্কার হলে বৃহস্পতিবার থেকে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর সংবাদদাতা জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪.০৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলার কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
এসব উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী অন্তত ২০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ বন্যার দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই বাড়ি- ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে মঙ্গলবার রাতে জেলার কাজিপুর উপজেলার মেঘাই নামক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরিত্যক্ত রিংবাঁধ ধসে গেছে। এতে মেঘাই, নতুন মেঘাই, পাইকরতলী ও আটাপাড়া নামের চারটি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘রাত দশটায় হঠাৎ করেই ওই বাঁধে ধস নামে। তবে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। ওই বাঁধের পরেও আরেকটি বাঁধ রয়েছে। পানি লেভেল হলে ধসে যাওয়া স্থানে জিওব্যাগ ফেলা হবে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও আট লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল হলেও তীব্র ভাঙনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় রৌমারীতে এলজিইডি’র সড়ক ভেঙে যাওয়ায় পুরো উপজেলা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রৌমারীতে দাঁতভাঙা এলাকার হাজিরহাট ও ধনারচরে এলজিইডির সড়ক ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এর ফলে নতুন করে পঞ্চাশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রান তৎপরতা শুরু হলেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় বানভাসীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরেছে। পাশাপাশি গো-খাদ্যের অভাবে গৃহস্তরা অসহায় হয়ে পরেছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে উলিপুরের গুণাইগাছ ইউনিয়নের কাজির চক এলাকার সুমন মিয়ার দেড় বছরের শিশু ফুয়াদ পানিতে পরে মারা গেছে। এ নিয়ে গত আটদিনে জেলায় পানিতে ডুবে মারা গেল ১৩ জন।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যার ফলে ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৯৮টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এতে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪শ পরিবারের ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ী। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন্যায় ৪১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ২টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর। জেলার ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, জেলার বাদিয়াখালি এলাকায় রেললাইনে পানি ওঠায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ রাখা হয়। বাদিয়াখালি রেলস্টেশন থেকে তীরমোহনী রেলস্টেশন পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রেললাইনের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। চার থেকে ছয় ইঞ্চি ওপর দিয়ে পানি তীব্রবেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রেল লাইনের নিচের মাটি, পাথর ও স্লিপার সরে গেছে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন গাইবান্ধা রেলস্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম। তিনি জানান, এই লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকার সাথে গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসলামপুর (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, জামালপুরে ইসলামপুরে বন্যার পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লাইন ও স্টেশন ডুবে যাওয়ায় ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেল রুটে ট্রেন চলাচল মঙ্গলবার থেকেই বন্ধ রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতের মধ্যে জেলার সদরের সাথে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বানভাসী মানুষরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পৌর এলাকার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়ে উপজেলা পরিষদে বন্যার পানি ডুকতে শুরু করেছে।
শিবগঞ্জ (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ও দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর রাধানগর চরে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙনের ফলে অন্তত ৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ইঁদুরের গর্ত দিয়ে পানি প্রবেশের ঘটনায় বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ভোগের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি, জরুরি মেডিসিন ও ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিনাত রেহেনা বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় ৫০০ পরিবারের মাঝে সোমবার সরকারি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মুড়াপাড়া-রূপগঞ্জ সদর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ফেরি যোগে চলাচল করছে যাত্রী সাধারনসহ যানবাহন গুলো। গত কয়েক দিনে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে গেছে, জরাজীর্ণ পল্টুনে পানি ঢুকে পড়েছে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের পাশাপাশি ফেরিগুলো সমস্যাপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। ইতঃমধ্যে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কয়েকটি যানবাহন পানিতে পড়ে গেছে।
প্রতিদিন দেশের প্রায় ১৭টি জেলা থেকে আগত যাত্রীরা শীতলক্ষ্যা নদীর এ ফেরি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদের বিভাগের এসডি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, যে সমস্যা রয়েছে, তা সমাধান করা হবে।
Leave a Reply