এ আই রবি, স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘার এম এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অত্র বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক, বিদ্যানুরাগী, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ মোকাররম হোসেনের সহধর্মিণী আলহাজ্ব রওশনআরা হোসেন ও সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আনছার আলী সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মনিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেদওয়ানুর রহমান মাসুম।
অনুষ্ঠানে সভাপতি বলেন, দেশকে ভালোবাসতে না পারলে নিজের সুন্দর আগামী গড়াও সম্ভব না। মনে রাখতে হবে সুশিক্ষিত দক্ষ নাগরিক দেশের সম্পদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভাপতি ও চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শিক্ষাথীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের বিদায় অনুষ্ঠান মূলত স্থায়ী বিদায় নয়, এটা তোমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রের একটি ধাপ অতিক্রম করা এখন থেকে তোমরা এসএসসি সম্পূর্ন করে বিভিন্ন কলেজে অধ্যায়ন করবে এবং আরো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করবে। তবেই তোমাদের শিক্ষা অর্জনের সফলতা পাবে। তিনি আরো বলেন, শুধু শিক্ষার সার্টিফিকেট অর্জনই নয়, জ্ঞান ও গুনের সমৃদ্ধিতে নিজেকে আলোকিত করে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের আরো যত্নবান হতে হবে। পরিশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন আমার ইউনিয়ন পরিষদের এলাকায় ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কোথাও কোনো ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ তথ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা অবহিত করতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল খালেক শিক্ষাথীদের উজ্জল ভবিষ্যৎ ও সফলতা কামনা করে বলেন, আগামীতে তোমরা সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করে আলোকিত মানুষ হয়ে এই বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখবে। এ সময় প্রধান অতিথি মহোদয় বিদায়ী ছাত্রীদের মাঝে তাদের প্রবেশপত্র ও ফাইল বক্স, স্কেল ও কলম প্রদান করেন এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি কৃত ছাত্রীদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
এ সময় আরো উপস্তিত ছিলেন অত্র গভর্নিং বডির সদস্য, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply