বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক :
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের হার এক–তৃতীয়াংশের কম হওয়ায় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ। সেই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনকে ‘অযোগ্য’ ও ‘অপদার্থ’ আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুনুর রশীদ এ দাবি তুলেন।
সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন যে ফলাফল দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি সিটি করপোরেশনে মাত্র ২৪ শতাংশ (প্রকৃতপক্ষে ভোট পড়েছে ২৫.৩০ শতাংশ), আরেকটিতে পড়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ (প্রকৃতপক্ষে ভোট পড়েছে ২৯ শতাংশ)। তিনি বলেন, ‘যেখানে এক-তৃতীয়াংশ ভোটার উপস্থিত হলো না, এই নির্বাচনের কী কোনো গ্রহণযোগ্যতা আছে, মাননীয় স্পিকার?’
এই সরকারের আমল ছাড়া অতীতে কোনো নির্বাচনে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়েনি দাবি করে হারুন বলেন, ‘এই নির্বাচনের কি কোনো বৈধতা আছে? যেখানে সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারল না, তাদের মতামত ও রায় প্রদান করতে পারল না। আজকের পত্রিকা বলছে, ইভিএমে ফলাফলও পরিবর্তন করা হয়েছে।’
সাংসদ হারুন বলেন, ‘সংবিধান প্রণয়নের সময় যদি ভাবা হতো ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়বে, তাহলে হয়তো তখন সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হতো যে অন্তত ৫০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনের আমল ছাড়া অতীতে কোনো সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনে ৫০ ভাগের কম ভোটের নজির নেই। যে কারণে মনে করি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ করার ক্ষেত্রে টোটালি ব্যর্থ। অযোগ্য, অপদার্থ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত। জনগণকে এই অবস্থা থেকে অবিলম্বে মুক্তি দেবে বলে আশা রাখি।’-কৃতজ্ঞতা প্রথম আলো।
Leave a Reply