ভরত রায় প্রত্যয়, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
১৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকাকে স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ইউএনও।

এসময় চিরিরবন্দর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাতাব উদ্দীন সরকার, বেলাল সরকার, সাংবাদিক মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোর্শেদ আলম জুন, সাংবাদিক একরামুল হক চঞ্চলের নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আগামী প্রজন্মকে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে বাঁচতে হলে স্মারকলিপিতে দাবি করেন ব্যাঙ্গের ছাতার মত যত্রতত্র ইট ভাটা গড়ে উঠায় একদিকে যেমন পরিবেশ মারাত্বক হুমকীর সন্মূখিন। অন্যদিকে লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ ট্রাক্টর চালকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত।

এক সমীক্ষায় জানা যায়, প্রতি বছর গড়ে চিরিরবন্দর উপজেলায় ২০-২৫টি প্রাণ অকালে ঝড়ে যায়। অদক্ষ লাইসেন্স বিহীন কম বয়সী ড্রাইভার, ফিটনেস বিহীন ট্রাক্টর, অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই বালুবাহী ট্রাক্টরের ত্রিপাল না মোড়ানো, বেপরোয়া গতির কারণে প্রতি নিয়তই ঘটছে ছোট বড় এসব দূর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ পথচারীরা। ট্রাক্টর মালিকদের গাফিলতি ও উদাসীন্যতার কারণে অহরহ দূর্ঘটনাগুলো বেড়েই চলেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে বহুবার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন কার্য্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ট্রাক্টর মালিক ও ট্রাক্টর ড্রাইভারদের দৌড়াত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অদক্ষ ও অল্প বয়সী ট্রাক্টর ড্রাইভাররা প্রতিযোগীতার করে ট্রাক্টর চালাতে গিয়ে এসব দূর্ঘটনা ঘটছে বলে চিরিরবন্দর উপজেলার বিশিষ্টজনরা মতামত ব্যক্ত করেন। শুধু তাই নয় ইট ভাটার কারণে কৃষি জমির যেমন ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে অপরদিকে অপরিকল্পিতভাবে ইট ভাটা দেয়া ও ইট ভাটার জন্য মজুদ করা মাটি কৃষি জমি হতে সংগ্রহ করায় কৃষি ফসলের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা আশ্বাস দিয়ে বলেন, দ্রুত অবৈধ ট্রাক্টর চালক, মালিক ও ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং সবাইকে নিয়মের মধ্যে চলতে বাধ্য করা হবে।