স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান:
প্রলয়ঙ্করী অগ্নিচক্ষু সিডরের মতো ভয়াল শক্তিতে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘আমপান’। অবিশ্বাস্য গতিতে ধাবমান বিধ্বংসী ক্ষমতার সাইক্লোনটির মুখ ও স্থলভাগে আঘাতের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশের সুন্দরবন। আজ বুধবার নাগাদ আঘাত হানতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে।বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমপানের কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। প্রস্তুতি হিসেবে দাকোপ উপজেলাতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃআবদুল ওয়াদুদ এবংউপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি তারফ-উল-হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তকায়ন কর্মকর্তা আবদুল কাদের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে অবস্থান করছেন।ইতি মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃআবদুল ওয়াদুদ বাজুয়া বানীশন্তা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ঝুকিপুর্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।এ ছাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি বুধবার সকাল থেকে দাকোপ উপজেলার নদী ও স্হল পথে ঝুকিপুর্ন এলাকা গুলো পরিদর্শন কনে চলেছেন।তিনি শতভাগ মানুষ কে নিরাপদ আশ্রয় স্হলে থাকার জন্য আহবান করেছেন।
তিনি আরে বলেন, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং চালনা পৌরসভায় পতাকা উত্তোলন ও মাইকিং চলছে। ঝড় আঘাত হানার পূর্বে মানুষের অবস্থান নেওয়ার জন্য ১০৮ টি সাইক্লোন সেল্টার এবং ৬৪ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যাবস্থা। স্বাস্থবিভাগকেও সর্বদা প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার কাজ নিয়মতি চলতে থাকবে বিপদ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত । ২০ মে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
Leave a Reply