স্টাফ রিপোর্টারঃ
সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠে রোগীর ডাকে। এর পর সারাদিন কাটে রোগীর সেবা করতে করতে, কখনো একটুখানি সময় পেলে শুরু হয় প্রতিবেদন লিখার কাজ বা সংবাদ সংগ্রহের অথবা এর জন্য ছুটে চলা পথে পান্তরে। রাতে কখন ঘুমাতে যাবে তা নিজেও জানে না। কারণ এমনো রাত আছে রোগীর চিকিৎসা করতে করতে কেটে যায় সারারাত। আবার কখনো কখনো রাতে যে কোন সময় রোগীর ফোন আসলে ছুটে যেতে হয় রোগীর বাড়ি, বলছিলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ভোলাহাট উপজেলা জামবাড়িয়া ইউনিয়ন আন্দিপুর গ্রামের শাহিন আলম-এর কথা। শাহিন পেশায় একজন মেডিকেল ডিপ্লোমা চিকিৎসক এবং নেশায় একজন সাংবাদিক। শাহিন আলমের কাছে তার জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে যাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি যতদিন পৃথিবীতে বেঁচে আছি ততোদিন মানব সেবা করে যাবো। তিনি আরো বলেন, মাঝে মধ্যে এই ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম করতে গিয়ে একটু শারীরিক সমস্যা হলেও আমি মানুষিকভাবে সবসময় প্রস্তুত থাকি। অত্র ইউনিয়নের ৪নং ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ! চিকিৎসার জন্য অনেক সময় বিপদে পরতে হয়, তাই শাহিন আলম এলাকায় ডাক্তারি করার সুবাদে অকালে চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী মারা যাওয়া থেকে বেঁচে যায় । তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে রাতে কেউ অসুস্থ হলে আমাদের ডাক্তার শাহিন দ্রুত গিয়ে চিকিৎসাসহ সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকে। বড়গাছি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, শাহিন আলম একজন কমিউনিটি প্যারামেডিক ডাক্তার। যার বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন করা আছে। তাই বলা যায়, আমাদের এলাকায় আমার জানামতে- রুগীকে সে খুব ভাল সেবা প্রদান করে থাকে। এদিকে, ৪নং জামবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, মিডিয়া পারসন ও ডাক্তার হিসেবে শাহিন আলম খুব ভালমতই মানব সেবা করে যাচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল বলেন, মানব সেবা হলো পরম ধর্ম। আর এই সেবামূলক কার্যক্রমে যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেকে সামিল করে সেইতো প্রকৃত মানুষ। অত্র এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহিন আলম গরীব অসহায় মানুষকে চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগীর লোকজন যাই ভিজিট দেয়, তাই নিয়ে নেয়। এমন হয় কখনো কেউ ভিজিট না দিলে ফিরে আসে খালি হাতে। এমনকি রাতের বেলায় রোগী দেখতে গিয়েও একই ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বলা যায়, প্রতিটি মানুষের যদি মানব সেবা করার জন্য একটু এগিয়ে আসে, তাহলে পৃথিবীটা আরো বেশি সুন্দর ও সম্মৃদ্ধ হতো!
Leave a Reply