সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলাস্থ পাহাড়ীপুকুর এলাকায় ফসলী জমি কেটে পানির লাইন বসানো সহ নির্ধারিত জায়গায় না বসিয়ে অন্য জায়গায় বসানোর অভিযোগ করছেন স্থানীয় কৃষকগণ। বিষয়টি নিয়ে সাপাহার থানা ও নির্বাহী প্রকৌশলী নওগাঁ বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাহাড়ীপুকুর মৌজার জেএল নং-২১ এ গভীর নলকুপ এর নালা (ড্রেন) বসানোর কথা থাকলেও সেই স্থানে না বসিয়ে নালা (ড্রেন) অর্থের বিনিময়ে এলএলপি বিলের পানি নেওয়ার জন্য অপারেটর পাহাড়ীপুকুর মৃত- হেরাজ উদ্দীনের পুত্র আবুল কালাম অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে অন্য স্থানে বসানোর অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে পাহাড়ীপুকুর গ্রামের মৃত: সাইফুদ্দীন এর পুত্র মারফত আলী বাদী ৩ জানুয়ারী দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে পাহাড়ীপুকুর গ্রামের নূরুল ইসলাম এর পুত্র আব্দুল আলিম বাদী হয়ে ২ জানুয়ারী নওগাঁ নির্বাহী প্রকৌশলী নওগাঁ রিজিওন-২ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, স্থানীয় কৃষকদের জমিতে থাকা রবি শস্য উত্তোলনের পর নালা (ড্রেন) তৈরী করার জন্য শরিশা খেত নষ্ট করছেন। স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৪০ হাজার টাকার শরিষা ক্ষতি হযেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নালা (ড্রেন) এর জন্য বরাদ্ধকৃত জায়গায় না বসিয়ে অর্থের বিনিময়ে নালা (ড্রেন) অন্যস্থানে বসানো হচ্ছে।
স্থানীয়দরর জমিতে এলএলপি সৌরবিদ্যুৎ চালিত মটারের পানি নেওয়ার জন্য জমির উপর দিয়ে নালা তৈরী করছেন।
এমতাবস্থায় ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোর ০৫:০০ টার সময় বিবাদীপন পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন লেবার নিয়া জমির শস্য নষ্ট করে জমির উপর দিয়া নালা খনন কাজ করতে থাকে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, বাদী ২ জনকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়া ঘটনাস্থলে আসতে নিষেধ করেন অপারেটর আবুল কালাম, পাহাড়ীপুকুর গ্রামের মৃত- গিয়াস উদ্দীনের পুত্র আব্দুল খালেক ও মনিপুকুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের পুত্র মামুন।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে অপারেটর আবুল কালামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়নি।
Leave a Reply