চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীয় চার নেতাকে জেলখানার ভেতরে ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়ে দেশে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। এরপরই শুরু হয় অপরাজনীতির ঘৃন্য অধ্যায়। ইতিহাসের এ নারকীয় হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে খুনিরা এ দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল। খুনিরা খুন করেই ক্ষান্ত হননি, তারা খুনিদের বিচার করা যাবে না মর্মে ইনডেমনিটি বা দায় মুক্ত অধ্যাদেশ জারি করে। শুধু তাই নয়, এই খুনিদের শিরোমনি মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করে বিচারের পরিবর্তে তাদের কৃত কর্মের পুরস্কার স্বরূপ বিদেশী দুতাবাসে চাকুরি দিয়েছিলেন। এভাবে দীর্ঘদিন অপরাজনীতির ধারায় চলতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু আল্লাহপাকের বিচার তো পক্ষপাতহীন। সে জন্য ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জাতির জনক কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ২১ বছর পর এই জেলহত্যা মামলা শুরু হয়। পরবর্তীতে বিচারের মাধ্যমে জেল হত্যাকারীদের দন্ড কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসকে তথা আইন ও বিচারের পূর্ণতা দিয়েছেন। অন্যথায় বাঙালি জাতির ইতিহাস কলঙ্কিতই থেকে যেত। আমরা ওই জাতীয় চার নেতারই উত্তরসুরী। তাই আমাদেরকে তাদের মতো নিজের জীবন বিলিয়ে হলেও দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
ঐতিহাসিক ও শোকাবহ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার আইনজীবী সমিতি ভবনে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ সাইফুল ইসলাম এ্যাডভোকেট উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান টুটুলের সভাপতিত্বে ও এ্যাড. অনিমেষ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. রবিউল ইসলাম রবি, স্পেশাল পিপি এ্যাড. শামসুর রহমান পারভেজ, এ্যাড. হযরত বেলাল, এ্যাড. বিনয় কান্তি রায় জীবন, এ্যাড. লতিফুর রহমান, এ্যাড. আরিফ ইকবাল হাসমি, এ্যাড. সাইদ আহমেদ, এ্যাড. শরিয়াত হোসেন, এ্যাড. মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।
Leave a Reply