বিশেষ প্রতিবেদক: রাজধানীতে ভূমি দখল, টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনো ব্যবসা হতে শুরু করে চাঁদাবাজিসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের অন্যতম যে গডফাদারের নাম উঠে এসেছে তিনি হচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া। গেল বুধবার র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল ফকিরেরপুলের ইয়াংমেন্স ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করে গুলশান-২ এর বাসা থেকে গ্রেফতার করে ক্লাবটির মালিক খালেদকে। র্যাব তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করার পর খালেদের বিরুদ্ধে মাদক আইন, অস্ত্র আইন এবং মুদ্রা পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয় এবং সেই সাথে মতিঝিল থানাতেও একটি মামলা দায়ের হয় অভিযুক্ত খালেদের বিরুদ্ধে। এসব মামলার প্রেক্ষিতে অস্ত্র ও মাদক মামলায় যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে মোট সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছেন ঢাকার দুটি আদালত।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে খালেদকে আদালতে নেওয়া হলে তাকে অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতের বিচারক মাহমুদা আক্তার এবং মাদক মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতের বিচারক শাহিনুর রহমান।
জাতীয় এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রিমান্ডে ডিবিকে দেয়া খালেদে তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উত্তরার ৪ ও ১৩নং সেক্টরে ক্যাসিনো খালেদ-সম্রাটদের আধিপত্য। যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে উঠে এসেছে এরকম তথ্য। প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীতে ক্যাসিনোগুলো গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্পোর্টিং ক্লাবকেন্দ্রিক। এসব ক্লাবের মধ্যে আছে- আজাদ ¯স্পোর্টিং ক্লাব, সোনালী অতীত ক্রীড়াচক্র, দিলকুশা ¯স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্লাব ও মোহামেডান ¯স্পোর্টিং ক্লাব, ব্রাদার্স ক্লাব, মেরিনার্স ক্লাব, মিরপুরে ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন ক্লাব, দুয়ারীপাড়া ক্লাব, উত্তরার ১৩ নং সেক্টরস্থিত, গাজীপুর, কারওয়ান বাজারের প্রগতিসংঘ ক্লাব। যুগান্তরের ওই প্রতিবেদনে উত্তরা ১৩নং সেক্টরের কথা উল্লেখ থাকার পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি গণমাধ্যমে উত্তরা ৪নং সেক্টরে এপিবিএনের বিপরীত পার্শ্বের একটি ভাড়া বাড়ীতে ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
তবে, ক্যাসিনোর বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের বক্তব্য, ‘আমি একটি কাজে আজ (শুক্রবার) সারা দিন গোপালগঞ্জে আছি। ডিবি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ যেসব তথ্য দিয়েছেন তা এখনও আমি অবগত হইনি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমি নির্দেশ দিয়েছি, ক্যাসিনো বাণিজ্যের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া যাবে না। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের জোনাল ডিসিদের পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছি, যে কোনো ধরনের অপকর্ম আমি মোটেও সহ্য করব না। সব থানায়ও একই মেসেজ দিয়েছি।’
Leave a Reply