মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে অবস্থিত গরীবে নেওয়াজ নার্সিং হোম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের দ্বিতীয় পর্বে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।
সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, উপজেলা সদরের হাসপাতাল রোডে অবস্থিত গরীবে নেওয়াজ নার্সিং হোম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নার্সিং হোম, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক পর্যায়ের তিনটি শাখা চালু রয়েছে। কিন্তু ওই তিনটি শাখা পরিচালনার জন্য নেই সঠিক জনবল। ডাক্তার নূর মোহাম্মদ নূরু একাই চালান ক্লিনিক, আলট্রাসনোগ্রাফী, প্যাথলজি ও এক্স-রে। যেন তিনি একাই একশ! যেখানে এক্সরে এবং প্যাথলজি করার জন্য আলাদা টেকনোলজিষ্ট প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত একটি ট্রেনিং নিলে তিনি করতে পারেন। কিন্তু এসব বিষয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার বিষয় মনে করছেন সচেতনরা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কোন সাধারণ রোগী নুরু ডাক্তারের নিকট আলট্রাসনোগ্রাফী করতে গেলে সে রিপোর্ট নরমাল দিলেও রোগীকে এপিনডিসাইটিসের ভয় দেখিয়ে তাৎক্ষণিক অপারেশনের নির্দেশনা দেন। তার মায়াজালে ভুলে অনেকে অপারেশন করতে যায়। পরে এপিনডিসাইটিস অপারেশন করতে গিয়ে এপিন্ডিক্সের নাড়ী খুঁজে না পেলে ভায়োডিন নামক কেমিক্যাল দিয়ে নাড়ী পচে গেছে বলে রোগীর লোকজনকে দেখায়। পরবর্তী সময়ে ভালো মানুষের অপারেশন করার জন্য ওই লোকটার পরবর্তীতে নানাবিধ সমস্যা হয় বলে জানা গেছে।
এছাড়াও অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে অজ্ঞান করার “বুফিবাকাইন হেবি ” গ্রুপের ৫ মিলি ইনজেকশন দেওয়া হয়। আর সেটি রোগী ভেদে দেড় থেকে দুই মিলি লাগে। বাঁকী যেটুকু থাকে সেটি দিয়ে আবার অন্য রোগীকে অবশের কাজে ব্যাবহার করেন। এতে করে পরিত্যক্ত ইঞ্জেকশন দেওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে রোগী সঠিক ভাবে অবশ না হলেও জোরাজোরি করে অপারেশন করে ওই ডাক্তার বলে জানান একটি গোপন সূত্র।
এছাড়াও ডাক্তার নূরুর ব্যাপারে রয়েছে আরো ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। যা থাকছে নিউজের তৃতীয় পর্বে।
এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ রুহুল আমিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, যদি কোন এমবিবিএস ডাক্তার নিজে প্যাথলজি করে তাহলে অবশ্যই এটি ভালো ব্যাপার। যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকে।
Leave a Reply