ছিপছিপে শরীরের লোভ আর ডায়াবিটিসের চোখরাঙানি— মূলত এই দুইয়ের দাপটেই পাত থেকে বাদ দিতে হয়েছে আলু। তরিতরকারি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, আলু বিদায় নিয়েছে ফিটনেস ফ্রিকদের পাত থেকে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, আলুকে বাদ দিলেও রাঙা আলুকে অবহেলা করাটা একেবারেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে না।
‘আমেরিকান ওবেসিটি অ্যাসোসিয়েশন’-এর মতে, রাঙা আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) এতটাই কম যে এর থেকে তৈরি হওয়া গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে মিশে যেতে পারে। এ ছাড়াও রাঙা আলুর বেশ কিছু গুণের কথাও জানিয়েছে তারা। পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহও তাদের সঙ্গে সহমত। তাঁর কথায়, ‘‘আলুও যে খুব ক্ষতিকারক তা কিন্তু নয়, বরং ঠিক উপায়ে রান্না করলে, অর্থাৎ রান্নার সময় আলু সেদ্ধ হওয়ার পর জলটা ফেলে দিলে সেই আলুতে খুব একটা ক্ষতি হয় না। তবু বেশি মাত্রায় ডায়াবেটিক ও ওবেসিটির রোগীদের আলু থেকে বারণ করা হয় এর জিআই বেশি বলে। এই সব্জি থেকে তৈরি গ্লুকোজ রক্তে মেশে না চট করে। কিন্তু রাঙা আলুর বৈশিষ্ট্য আলুর একেবারে বিপরীত। তাই ডায়েটে রাঙা আলু না থাকাটা ঠিক সিদ্ধান্ত নয়। বরং এটা সুস্থ ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।’’
কী কী কারণে পাতে রাঙা আলু রাখতেই হবে তার বেশ কিছু কারণও দর্শিয়েছে ‘আমেরিকান ওবেসিটি অ্যাসোসিয়েশন’। পুষ্টিবিদরাও দিলেন তেমনই নিদান। এতে ভিটামিন এ, প্রয়োজনীয় খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের মতো দরকারি উপাদান মজুত থাকে। মূলত শীতে পাওয়া যায় এই সব্জি। তাই শীতকাল জুড়েই কেন পাতে রাখতে হবে তা, রইল তারই কারণ।
Leave a Reply