নিজস্ব প্রতিবেদক, কপোত নবী : চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রোববার সকাল ৮টায় পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডে শহীদ মনিমুল হক সড়কে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা শাখা আ.লীগের আয়োজনে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফেরদৌসী ইসলাম জেসি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মো.মনিরুল ইসলাম, পৌর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবু, পৌর আ.লীগ সদস্য ডা. গোলাম রাব্বানী, এ্যাড. ইয়াসমিন সুলতানা রুমা, শান্তনা হক, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ফায়জার রহমান কনক, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান আরমান, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লেনিন প্রামানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সালেহ হাম্মাদ রাজিব, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুর রেজা ইমন, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফ জামান আনন্দসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতি লীগসহ নেতৃবৃন্দ। পৌর আ.লীগ ও ছাত্রলীগের আয়োজনে এসব কর্মসূচী সম্পন্ন হয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে।
সেদিনের ওই ঘটনা দেশবাসীসহ সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে জঘন্য ও বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ইতিহাসবিদদের মতে, মানবসভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধুর রাত ৩ নভেম্বর। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও তার সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তাদের সরকারে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ জাতীয় চার নেতা সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ কারণে তাদের নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়।
Leave a Reply