সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে প্রভাবশালী কর্তৃক জরিনা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধুকে নানাবিধ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চহেড়া গ্রামে। জরিনা খাতুন উপজেলার চহেড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে। উক্ত ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জরিনা খাতুন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী জরিনা দীর্ঘদিন আগে চহেড়া গ্রামস্থ পুকুর পাড়ে ৩শতাংশ জায়গার উপর আমার বাসস্থান তৈরী করে শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে বসবাস করতে থাকে। সেই বাড়িতে একজন ভাড়াটিয়া রাখে সে। কিন্তু তার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা আসামী আ. মতিনের মেয়ে সায়েমা খাতুনের সাথে স্থানীয় মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে প্রভাবশালী শামসুল হকের অনৈতিক সম্পর্ক থাকায় তাদের অনৈতিক মেলামেশা বহাল রাখতে এবং যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় সে জন্য শামসুল হক বাড়ী থেকে ভাড়াটিয়া বের করে দিতে বলে। প্রয়োজনে বিনা ভাড়াটিয়ায় জরিনাকে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেয়। শুধু তাই নয় সায়েমা, তার ছেলে শামীম ও শামসুলের যোগসাজসে ভুক্তভোগী জরিনার স্বামীকে বিভিন্ন ধরণের কথা লাগিয়ে সংসার বিচ্ছিন্ন করে।ভুক্তভোগী জরিনা অসহায় মহিলা মানুষ হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকা ও মারপিট করার হুমকি প্রদান করে। অভিযোগে আরো উল্লেখ আছে যে,ওই প্রভাবশালী শামসুল সায়েমার বাড়ীতে প্রতিনিয়ত রাত-দিন যাতায়াত করে। যাতে করে জরিনা বাধা দিতে গেলে তাদের নিকট বাড়ি বিক্রি করার জন্য বলে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন আগে জরিনা তার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে দেখে শামসুল সায়েমার বাড়ী থেকে বের হচ্ছে। এসময় কারন জিজ্ঞেস করলে শামসুলের নির্দেশে সায়েমা ও তার ছেলে শামীম ভুক্তভুগী জরিনাকে বেধড়ক মারপিট করে। সেসময় পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী মৃত মান্নানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন ও তার পরিবার জরিনাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। শামসুল অত্যান্ত দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির হওয়ায় বর্তমানে নিজ বাড়ীতে যেতে পারছেন না ভুক্তভোগী জরিনা। যার ফলে নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেন তিনি। গত ২২ডিসেম্বর লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করে আইনের আশ্রয়প্রার্থী হন তিনি।
এ বিষয়ে শামসুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন “ আমার নামে এসব মিথ্যে রটানো হচ্ছে। সায়েমা এবং জরিনা দুজনেই আমার বোন। সুতরাং তাদের বাড়ীতে আমি যেতেই পারি।” মারপিটের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন “ ওই দিন সায়েমা এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা তোলেন। সেই টাকা আমার নিকট রাখার জন্য ডাকলে আমি যাই। পরে টাকা নিয়ে বের হবার পথে জরিনা নানান রকম খারাপ ও কটু কথা বললে সায়েমার ছেলে তাকে মারতে উদ্ধত হয়। কিন্তু আমি মারপিট করতে দেইনি।”
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যেহেতু আমার দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply