বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক :
গারো পাহাড়ের পাদদেশের নৈসর্গিক এক জনপদ নেত্রকোনা। একে মহুয়া মলুয়ার দেশও বলা হয়। হাওড়-বাওড়, খাল-বিল, নদী-নালা, ঘাস, ফুল এ জেলাকে করে তুলেছে অনন্য। ছোট্ট এ জেলার পরতে পরতে জড়ানো সৌন্দর্য। এখানে রয়েছে পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় অন্তত পঁয়ত্রিশটি স্পট। এগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় সব পর্যটন কেন্দ্র।
সম্ভাব্য স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরায় মুক্তিযুদ্ধে সাত শহীদের মাজার, চেংনি ও গোবিন্দপুরে পাহাড়ের নৈসগ্রিক প্রকৃতি ও পাগলা কৈলাটির কালা চানশাহের মাজার, দূর্গাপুর বিজয়পুরের চিনামাটির পাহাড়, গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য, টংক আন্দোলনের জন্য খ্যাত হাজং মাতা রাশিমনি স্মৃতিসৌধ, রানীখং মিশন টিলাতে ক্যাথলিক গীর্জা, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি, কমলা রাণীর দীঘি, বাউরতলা গ্রামের কথিত নইদ্যা ঠাকুরের ভিটা ইত্যাদি।
নেত্রকোনা জেলা শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার এবং ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষে মনোমুগ্ধকর পাহাড়ী পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা দূর্গাপুর উপজেলা। এই উপজেলায় বাস করে বিভিন্ন আদিবাসী গোত্রের মানুষ। যেমন- গারো, হাজং, কোচ, বানাই, ঢালু। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অফুরন্ত খনিজ সম্পদের ভান্ডারও এই উপজেলা।
Leave a Reply