শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ রাজশাহীতে টহল গাড়ি থেকে ছিটকে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু-বরেন্দ্র নিউজ গোদাগাড়ীর গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুই প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ-বরেন্দ্র নিউজ বিয়ে করতে ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু-বরেন্দ্র নিউজ মহাদেবপুরে অটোরিকশাতে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে চালকের মৃত্যু-বরেন্দ্র নিউজ কুড়িগ্রামে শেখ মুজিবুর রহমান আন্ত:কলেজফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতিব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর হাজারো মানুষ পানিবন্দি-বরেন্দ্র নিউজ মহাদেবপুরে মালাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন–বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা ৩ জনের যাবজ্জীবন-বরেন্দ্র নিউজ কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী : ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার উপর-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ-বরেন্দ্র নিউজ
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্ম’দ (সাঃ) এর ১০ উপদেশ-বরেন্দ্র নিউজ

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্ম’দ (সাঃ) এর ১০ উপদেশ-বরেন্দ্র নিউজ

বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক :
রাসুল (সা.) ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি বিভিন্ন সময় স্বীয় সাহাবাদের বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন। তেমন একজন সাহাবি মুআজ (রা.)। একবার রাসুল (সা.) তাঁকে ১০টি উপদেশ দিয়েছিলেন।

১. ‘আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, যদিও তোমাকে হ’ত্যা করা হয় অথবা আ’গুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।’ শিরক অন্তত জঘন্য অ’প’রাধ। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের অসংখ্য জায়গায় বান্দাকে শিরকের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকার আদেশ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, তোম’রা ইবাদত করো আল্লাহর, তাঁর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক কোরো না। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৬)

শিরক অমা’র্জনীয় অ’প’রাধ। মহান আল্লাহ শিরককারীকে ক্ষমা করেন না। মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করেন না। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৮) তাই আমাদের উচিত শিরক থেকে মুক্ত থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। এমন কাজ বর্জন করা, যাতে শিরকের আশ’ঙ্কা থাকে।

২. ‘পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না, যদি মাতা-পিতা তোমাকে তোমা’র পরিবার-পরিজন বা ধনসম্পদ ছেড়ে দেওয়ার হুকুমও দেয়।’ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমা’র রব ফায়সালা করে (আদেশ) দিয়েছেন, তিনি ছাড়া অন্য কারোর ইবাদত না করতে ও মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন বা উভ’য়েই তোমা’র কাছে বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদের ‘উফ্’ বলো না এবং তাদের ধমকও দিয়ো না। বরং তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলো। (সুরা : বনি ইস’রাঈল, আয়াত : ২৩)

আলোচ্য আয়াতে এক আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হলো, মহান আল্লাহ মানুষের প্রকৃত স্রষ্টা ও প্রতিপালক। কিন্তু মানুষ পৃথিবীতে আসার বাহ্যিক উপায় ও মাধ্যম হলেন মাতা-পিতা। তাই আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশনার পরেই মাতা-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তিন ধরনের মানুষের দিকে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন দৃষ্টিপাত করবেন না। মাতা-পিতার অবাধ্য, পুরুষের সদৃশ অবলম্বনকারী নারী এবং দাইয়ুস। আর তিন প্রকার লোক জান্নাতে যাবে না। মাতা-পিতার অবাধ্য, ম’দ পানে আসক্ত এবং অনুদানের পর খোঁটাদাতা।’ (মু’সনাদ আহম’দ, হাদিস নম্বর : ৬১১)

৩. ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো কোনো ফরজ নামাজ ছেড়ে দিয়ো না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তাআলা তার থেকে দায়িত্ব উঠিয়ে নেন।’ অর্থাৎ নামাজ বর্জনকারী আল্লাহর নিয়ামত, বরকত ও রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লাহর ফেরেশতারা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন, তার দোয়া কবুল হয় না, তার চেহারার নূর উঠে যায়, তার জীবিকা সংকী’র্ণ করা হয়।

ফলে সে ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় ক’ষ্ট পায়। রাসুল (সা.) ফরজ নামাজ বর্জনকারীর ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করেছেন, জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ছেড়ে দেওয়া। (মু’সলিম, হাদিস : ১৪৮) তাই কোনো মু’সলিম ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না।

৪. ‘ম’দ পান থেকে বিরত থাকবে। কেননা তা সব অশ্লীলতার মূল।’ মা’দক শুধু ব্যক্তিকে নয়, তার গোটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। সমাজে তাদের মা’থা নিচু করে দেয়। মানুষকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দেয়। এ ধরনের অভ্যাস জীবনের সফলতার অন্তরায়। যারা এগুলো ত্যাগ করতে পারে না তারা সফল হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয় ম’দ, জুয়া, প্রতিমা-বেদি ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোম’রা তা পরিহার করো, যাতে তোম’রা সফলকাম হও।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৯০)

৫. ‘সাবধান! আল্লাহর নাফরমানি ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো, কেননা নাফরমানি দ্বারা আল্লাহর ক্রোধ অবধারিত হয়ে যায়।’ মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোম’রা প্রকাশ্য ও গো’পন পাপ বর্জন করো, যারা পাপ করে অচিরেই তাদের পাপের সমুচিত শা’স্তি দেওয়া হবে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১২০)

৬. ‘জিহাদ থেকে কখনো পালিয়ে যাবে না, যদিও সব লোক মা’রা যায়।’ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে ল’ড়াই করে। অ’তএব তারা মা’রে ও ম’রে। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে এ স’ম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ ওয়াদা পূরণে আল্লাহর চেয়ে অধিক কে হতে পারে? সুতরাং তোম’রা (আল্লাহর সঙ্গে) যে সওদা করেছ, সে সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং সেটাই মহাসাফল্য। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১১১)

৭. ‘যখন মানুষের মধ্যে মহামা’রি ছড়িয়ে পড়ে আর তুমি সেখানেই রয়েছ, তখন সেখানে তুমি অবস্থান করবে (পলায়নপর হবে না)।’ মহামা’রি প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) আলোচনা করলেন এবং বললেন, যে গজব বা শা’স্তি বনি ইস’রাঈলের এক গোষ্ঠীর ওপর এসেছিল, তার বাকি অংশই হচ্ছে মহামা’রি। অ’তএব, কোথাও মহামা’রি দেখা দিলে এবং সেখানে তোম’রা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা থেকে চলে এসো না। অন্যদিকে কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে এবং সেখানে তোম’রা অবস্থান না করলে সে জায়গায় যেয়ো না। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৬৫)

৮. ‘শক্তি-সাম’র্থ্য অনুযায়ী নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করবে (কার্পণ্য করে তাদের ক’ষ্ট দেবে না)।’ কৃপণতা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। কোনো মুমিন কৃপণ হতে পারে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে সে খুবই নিকৃষ্ট। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫১১)

৯. ‘পরিবারের লোকেদের আদব-কায়দা শিক্ষার জন্য কখনো শাসন হতে বিরত থাকবে না।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, সাবধান! তোম’রা সবাইকে রাখাল (দায়িত্বশীল) এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার রাখালি (দায়িত্ব পালন) প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৭০৫) তাই পরিবারের লোকদের সর্বাবস্থায় আল্লাহর হুকুম পালনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে শাসন করতে হবে। সব পাপ কাজ বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
১০. ‘আল্লাহ তাআলা স’ম্পর্কে তাদেরকে ভ’য় প্রদর্শন করতে থাকবে।’ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর তুমি তোমা’র নিকটাত্মীয়দের সতর্ক করো। (সুরা : শুআরা, আয়াত : ২১৪) এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) বললেন, হে সাফিয়্যা বিনতু আবদিল মুত্তালিব, হে ফাতিমা বিনতু মুহাম্ম’দ, হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধর! আল্লাহ তাআলার (পাকড়াও) হতে তোমাদেরকে বাঁ’চানোর ক্ষমতা আমা’র নেই। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩১০)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT