শফিকুল ইসলাম: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নে বিল এলাকায় প্রভাবশালীদের পুকুর খনন করে মাছ চাষের ব্যাপক হিড়িক পড়েছে। একদিকে ব্যাপক আমবাগান তৈরীর পাশাপাশি ফসলী জমিতে ইটভাটা নির্মান অন্যদিকে পুকুর তৈরীর হিরিক।এতে করে জেলায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। এ পর্যন্ত কালোন, চ্যাংমারী ও ঘোড়াদহ এলাকায় প্রায় ৯৫টি পুকুর খনন করা হয়েছে। এ সমস্ত পুকুর খনন করার ফলে রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে পুকুর খনন বন্ধ করলেও রাতের আধারে ওই সব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পুকুর কাটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে জমির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই বিলগুলোতে বছরে একটি মাত্র ফসল উৎপাদন হলেও অত্যন্ত কম ফলন দেয়। অন্যদিকে পুকুর খননের জন্য লিজ দিয়ে তারা বিঘা প্রতি বছরে ২০ হাজার টাকা পাচ্ছে। অধিক লাভের আশায় কৃষকেরা জমি পুকুর খননের জন্য লিজ দিতে বাধ্য হচ্ছে।
অন্যদিকে কৃষকদের একটি অংশ জানায়, কর্ণখালী বিল ও পুঠিমারী বিলে গভীর নলকূপ স্থাপন করে যেমন কয়েকটি ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে এমনি ভাবে কৃষি বিভাগ ও বিএমডিএ বিভাগ যদি এ সমস্ত বিলে পরিকল্পনা অনুযায়ী গভীর নলকূপ স্থাপন করে চাষাবাদের ব্যবস্থা করে তবে বছরে তিনটি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল জানান, সরকারি নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি কৃষকদের আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে ১০ বছর মেয়াদি জমি লিজ নিয়ে দেদারসে পুকুর কাটছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান জানান, পুকুর খননের সত্যতা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন। কি পরিমান পুকুর খনন করা হয়েছে তা ওই ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হবে।
এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার জানান, পুকুর খনন বন্ধ ও সমস্যা সমাধানের বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান।
Leave a Reply