নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) মতিহার থানার এসআই শাহাবুলের বিরুদ্ধে হয়রানির যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। মতিহার থানায় যোগদান করার পর থেকেই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, চোরাকারবারিদের, ছিনতাইকারিদের কাছে আতংঙ্কের নাম হিসাবে অতি পরিচিত এ অফিসার। মতিহার থানায় যোগদানের পরে একাধিক মাদক উদ্ধারসহ পলাতক ওয়ারেন্ট আসামী, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তারে ভাল কাজের অবদান রাখায় আরএমপি পুলিশ কমিশনার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসাবে ৩ বার পুরস্কার দেন এসআই সাহাবুল কে। মতিহার থানা এলাকায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনে সবচে বেশি অবদান এ অফিসারের। আর এ জন্য মতিহার থানা এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের পথের কাঁটা হয়ে গেছে। তাকে থানা থেকে সরাতে একটি মিথ্যে অভিযোগ এলাকাবাসীর নাম করে কুখ্যাৎ মাদক ব্যবসায়ীরা করেছে বলে দাবি করেন তিনি। গৃহবধূকে যৌন হয়রানিসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে শনিবার আরএমপি কমিশনার ও আইজিপি কমপ্লেন সেলে লিখিত অভিযোগ এলাকাবাসী নাম দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা দিয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এসআই শাহাবুল ইসলাম জানান, অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে শরিফ এর বিরুদ্ধে ১০ টি মাদক মামলা রয়েছে, মোস্তাকিনের বিরুদ্ধে ২টি মাদক মামলা, এবাদতের ১টি, শামীম হোসেনের ৩টি, চম্পা বেগমের বিরুদ্ধে ৬টি, আসাদুলের ৩টি, জাহিদ হাসান এর বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা আছে। এছাড়া এরা সবাই বর্তমানে জেল হাজতেই আছে। এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে তাদের নাম ব্যবহার করে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা আমাকে সরাতে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এছাড়া, চরশ্যামপুরের মোবারোক, মোস্তাকিন কে মিথ্যা মাদক মামলা দেয়া এবং চিহৃত মাদক ব্যবসায়ী যাদের কাছে থেকে মাসিক চাঁদা নেয়া হয় বলা হয়েছে অভিযোগে। এর মধ্যে মোছাম্মাদ গুলে বেগম অরোফে গুলে, মোবারক, মিঠু, চম্পা, চম্পার মেয়ে রিমা, রফিকের স্ত্রী শিখা বেগম, আসলাম, আক্কাস, পি”িচ আক্তার, মিঠু কে মাদক ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া হয়। এদের মধ্যে, শিখা বেগমের বিরুদ্ধে ৩টি মাদক মামলা,আসলাম আলীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা, আকতারের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা, আক্কাস আলীর ২টি মামলা, মোবারক হোসেনের ৪টি মাদক মামলা, গোলেজান বিবির ৪টি মামলা, মিঠু হোসেনের ৩টি মামলা, রুমা বেগমের ২টি মামলা, রিমা বেগমের ২টি মামলা, চম্পা বেগমের ৭টি মামলা, আসাদুলের ৩টি, জাহিদ হাসানের ৫ টি মামলা। এদের বিরুদ্ধে এসব মাদক মামলা বেশ কিছু আমি দিয়েছি। এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের একটি চক্রান্ত। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে এবং থানা থেকে সরাতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানান এসআই শাহাবুল।
এ ঘটনায় মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ পারভেজ জানান, মতিহার থানায় যোগদানের পরে ৩ বার মাদক উদ্ধারসহ ভালো কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসাবে আরএমপির পক্ষ থেকে পুরস্কার পেয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে এসআই শাহাবুল ১৯ টি মাদক মামলা, ৩০০ গ্রাম হেরোইন এবং আসামী আটক, ডেড় কেজি গাঁজা ও সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী জিআর মামলার এবং ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী আটক করে এসআই শাহাবুলের নেতৃত্বে। গত নভেম্বর মাসে মাদক উদ্ধারে ও ওয়ারেন্ট তামিল করে শেষ পুরস্কার নেয় আরএমপি কমিশনার স্যারে কাছে থেকে। অভিযোগে যাদের কে মাদক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তাদের সবার সিডিএম যাচায় করে একাক জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। শাহাবুল কে বিপাকে ফেলে মাদক ব্যবসায়ীরা ছদ্ম বেশে এলাকাবাসী সেজে অভিযোগ দিয়েছে বলে জানান ওসি মাসুদ পারভেজ। থানা এলাকায় কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না বলে আমরা সবাই অঙ্গীকারবন্ধ আছি থাকবো বলে জানান তিনি।
Leave a Reply