মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম সাপাহার উপজেলা। এই উপজেলার আয়তন ২৪৪.৪৯বর্গ কিলোমিটার, ২০১১সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ১লক্ষ ৬১হাজার ৭৯২জনের জনবসতী, তবে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা মতে বর্তমানে লোক সংখ্যা প্রায় ২লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে খোদ উপজেলা সদরে বিভিন্ন জেলা উপজেলা হতে আগত বিভিন্ন ব্যাবসায়ী ও লেখা-পড়া করতে আসা লোকজন সহ প্রায় ৭০/৭৫হাজার লোকজন সদরেই বসবাস করছে । বর্তমানে সরকারের ডিজিটাল উন্নয়নের ছোঁয়ায় উপজেলা সদরটি এখন শিক্ষা নগরীতে পরিণত হয়েছে। এই উপজেলা সদরে রয়েছে বৃহত্তম দু’টি বিদ্যাপিঠ সরকারী ডিগ্রী কলেজ ও মহিলা ডিগ্রী কলেজ। এছাড়া ৫টি উচ্চ বিদ্যালয় ২টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয়, ৮/১০টি বে-সরকারী প্রাথমিক/কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। কলেজ গুলিতে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় সাপাহার উপজেলাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলাটি সীমান্ত ঘেঁষা হলেও এই উপজেলার উপর দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জের সবকটি উপজেলায় যোগাযোগের সুগম সড়ক পথ রয়েছে, ফলে উপজেলাটির গুরুত্ব আরোও বেড়ে গেছে। এছাড়া উপজেলা সদরের অতি গুরুত্বপূর্ণ জিরো পয়েন্ট থেকে চার দিকে চারটি রাস্তা বের হয়ে গেছে। প্রতিদিনের অধিকাংশ সময় এই জিরো পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকে যার ফলে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা, বাজারে বাজার করতে আসা লোকজন, সরকারী কর্মচারীগন সহ প্রতিটি সেক্টরের মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে অধিক সময় লেগে যায়। রাস্তায় চলাচলকারী অসংখ্য ভ্যান, অটো ভ্যান, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক সহ বিভিন্ন ধরনের ভুটভুটি চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষন না থাকায় তারা রাস্তার ট্রাফিক আইন বুঝেনা ফলে হরহামেশা দুর্ঘটনা ও যানজট লেগেই থাকে। উপজেলার অভিজ্ঞ মহল সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অচিরেই এই গুরুত্বপূর্ণ জিরো পয়েন্টের যানজট ও দুর্ঘটনা এড়াতে তড়িৎগতিতে এখানে ট্রাফিক সার্জন নিয়োগ অথবা পথচারীদের অবাধে পথ চলাচলের জন্য চার রাস্তায় চারমুখী একটি ওভার ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
Leave a Reply