আল আমিন চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এল বসন্তের রঙে। ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার মানুষকে জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। ফাল্গুন প্রকৃতিতে যেমন রঙ ছড়ায় তেমনি রঙ ছড়ায় প্রাণেও। এ সময় বর্ণিল প্রকৃতির সাথে নিজেকে রাঙাতে পছন্দ করে অনেকে। তবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি সবার কাছে একটু ভিন্ন। এবারে ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালিত হবে একই দিনে। তাই ফাল্গুনের প্রথমদিন ও ভালোবাসা দিবসে বর্ণিল শোভা বাড়াতে ফুল ব্যবসায়ীরাও নিয়েছে প্রস্তুতি। এ দুইটি দিবসকে সামনে রেখে নগরীর মোমিন রোড ও চেরাগী পাহাড় এলাকায় ফুলের দোকানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। চেরাগী পাহাড় মোড় ঘিরে এখন ফুলের সুভাষ। পুরো এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাইরে ফুলের ঝুরি সাজানো। তবে ভেতরে প্রায়
খালি। জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানায় ভালোবাসা ও বসন্ত উপলক্ষে ফুল আনবো, তাই দোকান খালি করতে হচ্ছে। দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছর বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস একইদিনে হচ্ছে। তাই ফুলের চাহিদা থাকতে পারে। সারাবছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক ফুলের সাথে প্লাস্টিকের ফুলের চাহিদাও থাকে। কিন্তু ভালোবাসা দিবসে ক্রেতাদের কাছে প্রাকৃতিক ফুলের চাহিদা বেশি। তবে বসন্তে মেয়েরা প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে সাজতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ফুলের চাহিদা মেটায় চায়না। তবে এখন চীনে থেকে ফুল আসছে না। তাই ভালোবাসা দিবস ও পহেলা বসন্ত প্রাকৃতিক ফুলের উপরই নির্ভরশীল।
বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও অপরাজিতা ফুলের দোকানি মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, এবারে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা করছি আমরা। তবে এটি অন্যান্য বছরের চেয়ে কম। কারণ এবার এসএসসি পরীক্ষা থাকায় আশানুরূপ ব্যবসা হবে বলে মনে হচ্ছে না। এবার চায়না থেকে ফুলও আসবে না। তবে থাইল্যান্ড, চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল আসবে। কিন্তু দাম আগের মতই আছে। বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার ভোরেই ফুলে ভরে যাবে দোকান। ১শ’টি গ্লাডিওলাস পাইকারীতে ৭শ’ থেকে এক হাজার টাকা ও প্রতিটি ১৫ টাকা বিক্রি হবে। হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুল ১শ’টি ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা, বিভিন্ন রঙের গোলাপ ১শ’টি ৬শ’ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতিটি ১৫ টাকা, বিভিন্ন জাতের রঙিন ফুল দিয়ে তৈরি একটি ফ্লাওয়ার বাস্কেট ৩শ থেকে ৫শ’ টাকা, বিভিন্ন ফুলের মিশ্রণে সেলোফিন দিয়ে মোড়ানো একটি বুকেট ১৫০ থেকে ২শ’ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা এক আঁটি ৫০-৬০ টাকা, জিপসি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে।ফুল ব্যবসায়ী জাস মোহাম্মদ বলেন, এসব ফুলের মধ্যে বেশিরভাগ ফুল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্ডার করেন। এখন চায়না থেকে ফুল না আসায় চট্টগ্রামের চাষীদের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ ফুলের যোগান আসে। আর ৪০ শতাংশ ফুল আসে ঢাকা ও যশোরের চাষীদের থেকে। যশোর থেকে আসে উন্নতজাতের রজনীগন্ধা, গাঁদা। চকরিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, হাটহাজারীর চাষীদের থেকে আসে গোলাপ, গাডিওলাস ও জারবেরা ফুল। এছাড়া থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে আসে বাহারি রঙের অর্কিড।
Leave a Reply