মনিরুল ইসলাম,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ফেব্রæয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি” মায়ের ভাষায় কথা বলার দাবী আদায় করতে গিয়ে আমাদের যে সব ছাত্র ভাইয়েরা হাসি মুখে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যাদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন ভাবে মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি মনে প্রাণে আমর কি তাদের কথা স্মরণ করছি? নওগাঁ জেলার অন্যতম সাপাহার উপজেলায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধিনে রয়েছে ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতার ৫০বছরেও সে সব প্রতিষ্ঠানে ভাষা সৈনিকদের কথা স্মরণ করতে একটি প্রতিষ্ঠানেও তৈরী হয়নি কোন শহীদ মিনার। এছাড়া সরকারী কলেজ ও স্কুল এন্ড কলেজ সহ মোট ৭টি বড় বিদ্যাপিঠ থাকলেও কেবল মাত্র সরকারী বিদ্যাপিঠ সরকারী কলেজেই রয়েছে একটি মাত্র শহীদ মিনার। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৫টি শহীদ মিনার রয়েছে ৮টি এছাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯৬টি এর মধ্যে ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করার জন্য শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ৩টি। প্রতি বছর ঘুরে ২১ফেব্রæয়ারী ফিরে আসলে আমরা সেই শহীদ ভাইদের কথা স্মরণে শহীদ বিদসটি পালন করি কিন্তু অভিজ্ঞ জনদের মতে দিবসটি পালন করতে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার থাকা আবশ্যক। যে সব শিক্ষা প্রতষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে আমরা কেবলমাত্র সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দিবসটি পালন করে থাকি। অন্যরা দিবসটি পালন হতে বিরত থাকেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ভবিষ্যত প্রজম্মের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের কথা স্মরনে ২১ এর চেতনা মূল্যবোধ থেকেও উপেক্ষিত হচ্ছেন। যাদের আত্মত্যাগের জন্য আজ আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি তাদের স্মৃতি স্মরণে আমরা বিরত থাকছি। উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষার্থী ছেলে মেয়ের অভিভাবকগন ও অভিজ্ঞমহল আগামীতে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছোট পরিসরে হলেও একটি করে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সু-দুষ্টি কামনা করছেন।
Leave a Reply