নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চলেই গেলেন রহস্যজনক আগুনে পোড়া ঝলসানো গৃহবধু সীমা আক্তার। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গত ৫ অক্টোবর রাতে আগুনে ঝলসানো গৃহবধু সীমা আক্তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ব্যক্তির খালু সাহাবুল জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের ৩০ ওয়ার্ডের ১০নং বেডে ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে সীমা আক্তার মারা যায়। উল্লেখ্য, সীমা আক্তারকে গত ৫ অক্টোবর জনৈক ভ্যানচালকসহ যাত্রীরা রাতের বেলায় দরবেশপুরের রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে নাচোল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে নাচোল থানার পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছালে আগুনে ঝলসানো নারীর পরিচয় পায়। পুলিশের বরাতে জানা যায়, রেলস্টেশনের হাতাডাউন পাড়ার রোজবুলের মেয়ে ও সাহাপুর গ্রামের মুক্তারুলের স্ত্রী সীমা খাতুন(৩২)। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সীমা আক্তারকে ঘটনার দিন রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীমা খাতুনের পক্ষে তার খালু রাজশাহী কাটাখালীর শ্যামপুর মহল্লার সাহাবুল বাদি হয়ে গত ৬ অক্টোবর নাচোল পৌর এলাকার মুরাদপুর গ্রামের মৃত রুস্তুম আলীর ছেলে তমিজ উদ্দিনসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তমিজ উদ্দীনকে নাচোল থানাপুলিশ গত ৬ অক্টোবর রাতে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। অগ্নীদগ্ধ সীমা খাতুনের খালুর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মুরাদপুর গ্রামের তমিজুদ্দীন সীমা খাতুনকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা নেয়। ঘটনার দিন তমিজ উদ্দিন সীমাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওইদন রাতে দরবেশপুর নামক স্থানে সীমার গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়।
এবিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমান জানান, অগ্নীদগ্ধ সীমা আক্তারের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। এজাহারনামায় অন্তর্ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply