বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের উপকূলের বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছচাপায় ও ঘরচাপা পড়ে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এখন শান্ত। এবার তীব্র গতিতে আঘাত হানবে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘পবন’। কারণ আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে নিয়মিত সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়। এরপরের বার আরব ও বঙ্গোপসাগরে যে ঝড়টি আসবে তার নাম হবে ‘পবন’। এরপর যেটি আসবে তার নাম হবে ‘আস্ফান’। ২০০৪ সাল থেকে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনগুলোর নাম দেয়ার রীতি শুরু হয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর ভিত্তি করে আঞ্চলিক কমিটি গঠন করে। এই আঞ্চলিক কমিটিকে সেই অঞ্চলের সদস্য দেশগুলো ঝড়ের বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে। ভারত মহাসাগরে হওয়া সমস্ত ঝড়ের ক্ষেত্রে এই নামকরণের দায়িত্ব বর্তায় ৮টি দেশের ওপর। ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা-এই দেশগুলো পালা করে ঝড়গুলোর নামকরণ করে। সেই ক্রমে বুলবুলের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। আর এর পরের ঝড়টির নাম হতে চলেছে ‘পবন’। এই নামকরণটি করেছে শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ানইন্ডিয়া জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ আগে থেকেই করা থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের সম্ভাব্য ঝড়গুলোর জন্য সদস্য দেশগুলো পূর্বেই বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে রাখে। যখন ঝড় সৃষ্টি হয় তখন ওই তালিকা থেকে নামগুলো ব্যবহার করা হয়। জানা যায়, এই নামগুলো কখনই দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা হয় না। এমনই কিছু ঝড়ের নাম এবং প্রস্তাবিত দেশের নাম দেওয়া হলো- ফণি (বাংলাদেশ), সিডর (ওমান), নার্গিস (পাকিস্তান), বিজলি (ভারত), আয়লা (মালদ্বীপ), রেশমি (শ্রীলঙ্কা), খাই-মুক ( থাইল্যান্ড)।
Leave a Reply