পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ একরামুল হক মুন্না
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের অমরখানা ইউনিয়নের মেহেনাভিটা ( গড়) নামক গ্রামে এক পরিবারের পুকুর ও কৃষি জমিসহ প্রায় ৩.২৪ একর সম্পত্তি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী একটি মহল। ইতিমধ্যে ওই পরিবারের সম্পত্তি দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী মহলটি অসহায় ওই পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি ধামকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে চলেছে।
আজ শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের সূত্রে ও সরেজমিনে তদন্ত করে জানাগেছে, সদর উপজেলার ভিতরগড় মৌজা, জে.এল.নংঃ ৯ ব্যাক্তি মালিকানাধিন খতিয়ান ভুক্ত এস এ দাগ নংঃ ২৪৬৮ ও ২৪৬৯ দাগে মোট জমির পরিমান ৩.২৪ একর খতিয়ানের মালিক মোঃ হাজী আলী হোসেন, পিতাঃ মৃঃ রিয়াজ উদ্দীন ও আমিরন নেছা, স্বামীঃ হাজী আলী হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে ছিলেন বর্তমানে তার ছেলে মোঃ আমির হোসেন উক্ত জমিতে পুকুরে মাছ চাষ সহ চাষাবাদ করেছেন এবং সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করে আসছেন।
এদিকে জমির উত্তরে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তফিয়ার রহমান, পিতাঃ মৃঃ জয়নাল আবেদীন, গ্রামঃ মেহেনাভিটায় এর বাড়ী,
ওই জমি দখল নেয়ার জন্য দীর্ঘ বছর ধরে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন। বিভিন্ন দফতরে ও সাংবাদ কর্মী ভাইদের ভুলবুঝিয়ে উক্ত জমি খাস বুঝাতে চাইছেন এবং মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। এদিকে অসহায় পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তফিয়ার রহমান ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
এলাকার সাধারণত লোকজনের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান আমির হোসেন এখানে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা করে নি, তবে, তফিয়ার ম্যাম্বার বেশি বেশি করছেন।
এবিষয়ে অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদ এর ইউপি, সদস্য মোঃ আঃ কুদ্দুস ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান নুরু বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম দেখা গেছে পুকুরের পূর্ব পাশে পাড় ঘেষে থাকা খাসজমির একটি নালা রয়েছে ওই নালা দিয়ে উত্তরের বর্ষার পানি দক্ষিনে দুটি কালবাট দিয়ে চলেযায়। সেটি এলাকাবাসী সহ নতুন আঙ্গিকে সংস্করণ সহ পূর্বের থাকা সকল সমস্যা সমাধান করেছি। এখন কোন সমস্যা নাই।
এবিষয়ে অমরখানা ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয় টি নাকি সরেজমিনে গিয়ে সমাধান করে দিয়েছেন।
Leave a Reply