সোহেল রানা বাবু,
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলা ব্লাড ব্যাংক এর ৩য় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে রক্তযোদ্ধাদের মিলন মেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মার্চ সকালে শহরের এসি লাহা মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর পথের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আবু বক্কর সহ বিশিষ্টজনেরা। এসময়ে এসিলাহা মিলনায়তন রক্তযোদ্ধাদের এক অভূতপূর্ব মিলনমেলায় পরিনত হয়। এ সময়ে সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ ১২ জনকে সন্মাননা এবং ৩০০ রক্ত যোদ্ধাদের জন্য সংগঠনের টি শার্ট প্রদান করা হয়।
সভায় সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সংগঠনের অতীতের বিভিন্ন কার্যাবলী ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে এতিম খানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে ২০০০ + পিস কোরআন শরীফ ও ৭০০ পিস রেহাল উপহার হিসেবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রোগীদের জন্য স্বেচ্চায় ৬০০০+ হাজার ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করে দেওয়া হয়েছে । স্বাবলম্বী প্রজেক্ট হিসেবে
বিধবা অসহায় মা-বোনদের জন্য ২৩ টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। ৫ টি দোকান ঘর করে দেওয়া হয়েছে।দুঃস্হ পরিবারের মাঝে ২৬ টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।দুস্হ ও অসহায়দের ৫ টি ঘর করে দেওয়া হয়েছে। গরিব অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৬২ টি হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। সংগঠনের শুরু থেকে এই পর্যন্ত গরীব অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বই সহ স্কুল মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য ৫৩ জনকে ১,৩২,৫০০ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।৮০ হাজার টাকা ব্যয় একটি অজুখানা নির্মাণ করা হয়েছে। করোনা শুরু থেকে ফ্রি ২৫০ জনেরও অধিক রোগীকে অক্সিজেন সেবা দেওয়া হয়েছে।দুইটি মসজিদের জন্য মাইক সেট দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাট জেলা সহ সিলেট কুড়িগ্রাম বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকার অধিক আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।১৯ জনকে পরিবার থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর আবার পরিবার খুঁজে বের করে দেওয়া হয়েছে।স্বাবলম্বী করার জন্য তিনজন অসহায় বাবাকে একটি ভ্যান ও ৩ টি রিকসা দেওয়া হয়েছে।শীতার্তদের মাঝে ৭০০ এর অধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে
বিভিন্ন সময়ে আগুনে পুড়ে গেছে এমন সাতটি পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, একটি বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা যেখানে ছেলেমেয়ে নাই এমন বৃদ্ধ বাবা মাকে রাখা হবে, ও রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মাদেরকে রাখা হবে।একটি ফ্রী এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা । গরিব ও এতিম ছাত্রছাত্রীদেরকে আরও বেশি থেকে বেশি সহযোগিতা করে দেশ ও জাতির খেদমতের জন্য তৈরি করার চেষ্টা। বাগেরহাট পৌরসভার ভেতরে একটি মুসলিম মৃত্যু ব্যাক্তির গোসলখানার ব্যবস্থা করা যেখানে সুন্নত তরিকায় গোসল করানো যাবে।অনুষ্ঠান শেষে গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাবার প্রদান করা হয়।
Leave a Reply