নওগাঁর রাণীনগরে মারপিট ও জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ এবং নির্মিত ঘর ভাঙচুর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ভাই এবং বোন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে রাণীনগর থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় বোনের দায়েরকৃত মামলায় অপর মামলার বাদী ভাই হানিফ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে থানাপুলিশ। গত মঙ্গলবার সকালে ভাই ও দুই ভাবীকে মারপিট করে গাছের সাথে বেধে রেখে ঘর নির্মানের অভিযোগ ওঠে ছোট বোন সাহারা খাতুনের বিরুদ্ধে।
জানাগেছে,উপজেলার গুয়াতা গ্রামের মৃত নবীর উদ্দীনের ছেলে শহিদুল মণ্ডল ও মেয়ে সাহারা খাতুন মেওয়ার মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েক বার বৈঠক করেও স্থানীয়রা বিষয়টি নিরসন করতে পারেনি। ফলে শহিদুল ইসলাম আদালতের আশ্রয় নেয়। অভিযোগ ওঠে হঠাৎ করেই শহিদুলের ছোট বোন সাহারা খাতুন মেওয়া বহিরাগত লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার সকালে খলিয়ানের মাথায় জায়গা দখল করে বাঁশের খুঁটি পুঁতে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এ সময় শহিদুল ও তার লোকজন বাধা দিতে গেলে শহিদুল-শহিদুলের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বউকে মারপিট করে গাছের সাথে বেধে রেখে ঘর নির্মাণ শুরু করে। শহিদুলের ছোট ভাই হানিফ মণ্ডল জানান,খবর পেয়ে থানাপুলিশ এসে গাছ থেকে বাঁধন খুলে দিলে তাদের কে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় রাতেই শহিদুলের ভাই হানিফ মণ্ডল বাদী হয়ে সাহারা খাতুন মেওয়াসহ কয়েক জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। অপর দিকে নির্মিত ঘর ভাঙচুর এবং শ্লীলতাহানীর ঘটনায় বোন সাহারা খাতুন মেওয়া বাদী হয়ে ভাই হানিফ মণ্ডল ও শহিদুল মন্ডলসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার বাদী হানিফ মন্ডলকে রাতেই গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছে।
রাণীনগর থানার ওসি মো. জহুরুল ইসলাম বলেন,গুয়াতার ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় হানিফ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।