মোঃমশিয়ার রহমান,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা ও পৌর শহরের হাটবাজার গুলোতে নেই কোন গণশৌচাগার।যেখানে সেখানে ফেলা হয় ময়লা আবর্জ।আর এসব ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করার ফলে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলা ও পৌর শহরে ৩০ টির ও বেশী ছোট বড় হাটবাজার আছে।সবাই হাট বাজার ইজারা দিয়ে বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় হয় সরকারের। এলাকাবাসী জানান রাজস্বের টাকা বাজার উন্নয়নে ব্যায় করার কথা থাকলেও তা হয় না।উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে হাট বাজার গুলোতে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন এবং ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় যেখানে সেখানে ফেলা হয় ময়লা আবর্জনা। আর এসব ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করার ফলে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। এবং নেই কোন গণশৌচাগার।যেগুলো আছে সেগুলো বন্ধ ও ব্যাবহার অনুপযোগী। এসব কারনে হাট বাজারে আসা মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলীর বাসিন্দা কাদের (৪৫) জানান পৌর শহরের ট্রাফিক মোড় বঙ্গবন্ধু চত্বরের কৈমারী সড়কের কসাইখানার সামনে , জিরো পয়েন্ট মহিলা মার্কেটে,ও বাসটার্মিনালে একটি করে তিনটি গনশৌচাগার থাকলেও সেগুলো ব্যাবহার অনুপযোগী। এবং কসাইখানার পাশে সহ যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারনে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এ-ই দুর্গন্ধের কারনে চলাচল করতে অসুবিধা হয়। কৈমারী সড়কের ব্যাবসায়ী তাইজুল বলেন হাটবাজার গুলোতে গণশৌচাগার ও ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান করে দেওয়ার ও নিয়মিত পরিস্কার করার দাবী জানান।ও জলঢাকাকে পরিস্কার শহর করার আহবান জানান।
এ বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু জানান আমার সময়ে পৌর সভার জনবল ও শহর পরিস্কারক কম থাকার পরেও ময়লা আবর্জনা সবসময় পরিস্কার রেখেছিলাম ও পানি নিষ্কাশনের জন্য কোটি টাকা ব্যয় করে ড্রেন নির্মান করেছিলাম।
সেই ড্রেন এখন কোথায় ও পরিস্কার না করার ফলে তার এখন নিঃশ্চিন্ন এবং শহরের পিলার গুলোতে লাইট লাগিয়ে রাতে আলোকিত করেছিলাম ও গণশৌচাগার করছিলাম একটি। আগামীতে চেষ্টা করবো।
Leave a Reply