ভরত রায় প্রত্যয়,
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
সারাদেশজুরে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিলেও যথেষ্ট সুরক্ষা নেই দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের “ট্রিলিয়ন গোল্ড” পোশাক কারখানা।
উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের একমাত্র বৃহৎ গার্মেন্টস শিল্প এটি। কতৃপক্ষ যদিওবা সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিস্কার করার কথা বলেছেন, তবুও শ্রমিকেরা তেমন কোন নিয়ম না মেনেই করে যাচ্ছে নিয়মিত কাজ। বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। কারখানার মুল ফটকেও নেই জীবানুনাশক কোন হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা সাবান পানির ব্যবস্থা। কোন প্রকার সচেতনতা না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন ওই এলাকার শ্রমিকরা।
এদিকে সরকার ঘোষিত সড়কে মানুষের চলাচল একেবারেই নেই বললেই চলে। নেই কোন দোকান-পাট। তবুও যারা বাহিরে রয়েছেন, তাদের ঘরে ফেরাতে মাঠে কাজ করছেন, উপজেলা প্রশাসন। কারখানার বাজিরে শুনশান পরিবেশ থাকলেও ভিতরে শ্রমিকদের এমন অসতেনতা ভীত সৃষ্টি করেছে উপজেলাবাসীর। কারখানার শ্রমিকেরা সাড়াদিন কাজ করে এসে স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করছেন পরিবারের সদস্যদের সাথে।
কারখানার কর্মরত কিছু শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, কারখানার ভিতরে ১ টি ফ্লোরে প্রায় এক থেকে দেড় হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করেন একসাথে। একজনের সাথে অন্যজনের দুরত্ব ১ হাতেরও কম। ভিতরের পরিবেশ মোটেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। তারা আরও জানান, কারখানায় আগে যেভাবে কাজ করতো এখনো সেভাবেই কাজ করছেন তারা। ভিতরে শুধু দায়সারা সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার আর মাক্স ব্যবহার ছাড়া কিছুই করছেন না তারা।
স্থানীয়রা জানান, কোন ভাবে যদি এই কারখানায় একজনের করোনা দেখা দেয়, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া লোন ভাবেই সম্ভব হবেনা। তাই কারখানায় ভাইরাসরোধী জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণ ও শ্রমিকের সুরক্ষার দিকে নজরদারি করতে কারখানার মালিককে তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আজমল হক জানান, কারখানায় সচেতনতা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ করাই উচিত। কারণ পোশাক কারখানায় জনসমাগম সবচেয়ে বেশি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, কারখানার মালিককে শ্রমিকদের জন্য যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ও মাক্স, জীবানুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পৃথক পৃথক সময়ে শ্রমিকদের ডিউটি ভাগ করা ও বাহিরে জনসমাগম না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply