বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার, দিন দিন প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে মানুষ। সহজ হচ্ছে মানুষে জীবন চলার পথ। সাধারণ নৈমিত্তিক গৃহকর্ম থেকে শুরু করে শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বানিজ্য, আর্থিক-লেনদেন, নাগরিক সেবা জীবন-যাপন প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বলা যায় প্রযুক্তির ছোয়া। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিঠিপত্রই ছিল এক সময় একমাত্র উপায়। বিনোদনের মাধ্যম ছিল প্রধানতঃ বই পড়া। রেডিও, টিভি চ্যানেল ছিল হাতে গোনা- তাও সবার সুযোগ হতো না সেগুলো উপভোগ করবার। একটা সময় টিভি খুজতে গেলে গ্রামাঞ্চল গুলোতে খুবই কম চোখে পড়তো। অন-লাইনে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে হয়ে যাচ্ছে ভর্তির কাজটি সহজেই। প্রযুক্তির উদ্ভাবন-মানুষের কাজের গতি বাড়িয়েছে, সময় বাঁচাচ্ছে এবং একই সাথে কাজের মান বাড়িয়েছে। মুহুর্তের সংবাদ মুহুর্তের মধ্যেই পৌছে যাচ্ছে সারা বিশ্বে। মানুষ তার সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে এবং সেগুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের ভেতরে অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। শুধুমাত্র তাই নয়, বিজ্ঞ মতামত ও পরামর্শের মাধ্যমে সেগুলো সংশোধনের সুযোগও থাকে। প্রচার, প্রসার ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান অবর্ণনীয় ও বর্ণনা করাও মার কাছে মাসীর গল্প বলার মতোই। কারণ বর্তমান যুগে প্রযুক্তি নাগালের ভেতরে থাকায় সবাই কম-বেশি পরিচিত ও অভিজ্ঞ এ বিষয়ে। আজ কাল মানুষ কোন জটিল বিষয়ের সমাধান খুজতে ইউটিউব বা গুগলে সার্চ করে প্রাই সব সমাধান খুজে পেয়ে যায়। ছাত্র-ছাত্রী কিংবা পাঠক পাঠিকারা প্রাই সকল বই পিডিএফ ফাইলে পেয়ে যায় অনলাইনে। এমন কি আজকাল মানুষ ঘড়ে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে বাসার বিদ্যুৎ বিল টি পর্যন্ত দিতে পারে । আগের মতো বিদ্যুৎ অফিসে কিংবা ব্যাংকে গিয়ে লাইন ধরে দাড়িয়ে থেকে আর বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়না। সরকারী প্রাই সকল চাকরীতে আবেদন করা যায় অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই নিজের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল টি ব্যবহার করেই। এতে করে বাঁচছে মানুষের সময়। কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ।
সোহেল রানা, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
Leave a Reply