সাইফুর রহমান শামীম ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামে লকডাউনে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হলেও চরম বিপদে পড়েছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষজন। টানা তৃতীয় দিন লকডাউনের ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে।ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিভিন্নভাবে ঋণ করে দোকান পাট ও সংসার চালাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।তাছাড়াও তাগিদ রয়েছে সাপ্তাহিক কিস্তি প্রদানের।সে কারনে এসব ব্যবসায়ীদের এখন মহা বিপদ।এসব পরিবারের কাছে লকডাউন এখন অনেক কষ্টের কারন।যেন গোদের উপর বিষফেঁাড়া। ঝুঁকি নিয়ে অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও ক্রেতার অভাবে ব্যবসায় কোন বিক্রি নেই।এরপরও প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়েও অনেকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। এদিকে,হোটেল শ্রমিক ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষজনও পড়েছে চরম বিপাকে। কাজ নেই নেই কোন সহায়তা।তবে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,ইতোমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও লকডাউনে শ্রমজীবিসহ নিম্ন আয়ের মানুষজনকে সহায়তা প্রদানে সরকারিভাবে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।এ বরাদ্দ পবিত্র রমজান ও ঈদের আগে ৭৩টি ইউনিয়ন ও ৩ পৌরসভায় বিতরণ করা হবে।
এদিকে,লকডাউনে বিপদে পড়া হোটেল শ্রমিকনেতা নুর মোহাম্মদ জানায়,এখন সব হোটেল বন্ধ। আমাদের মালিকরা কোন টাকা পয়সা দিচ্ছেন না।তাহলে আমরা এখন কোন সহায়তা না পেলে পরিবারকে নিয়ে কিভাবে বাঁচব। কুড়িগ্রাম পৌরবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাজু, রমজান, রফিকুল ও কালাম জানান, লোন করে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করছি। প্রতিদিন কিস্তি দিতে হয়। এখন ব্যবসা বন্ধ। ঘর থেকে টাকা এনে কিস্তি শোধ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ সুদের উপর টাকা নিয়ে কিস্তি দিচ্ছে। আমাদেরকে নিয়ম করে দিক। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাই। না হলে আমরা পথে বসবো।শাপলা চত্বরের শ্রমিক আব্দুল করিম জানায়,গাড়ি বন্ধ। টাকা কোথায় পাব।আমাদের যদি সরকার সহায়তা কওে তাহলে বাঁচতে পারব।অন্যদিকে উর্ধ্বমূখী কোভিড-১৯ ঠেকাতে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন থেকে নানান উদ্যোগ নেয়া হলেও মানছেন না সাধারণ মানুষ। জেলা প্রশাসনের প্রচারণা ও মাইকিংএর পরেও মাস্ক ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়,করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য জেলার ৭৩টি ইউনিয়ন ও ৩ পৌরসভায় ভিজিএফ’র টাকা প্রতি পরিবারকে ৪৫০টাকা করে ১৯ কোটি ২৮লাখ ৩৬হাজার ২৫০টাকা প্রদান করা হবে।এছাড়াও ওই ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১ কোটি ৮২লাখ ৫০হাজার টাকা প্রতি পরিবারকে ৪০০টাকা করে প্রদান করা হবে।এ টাকা আসন্ন রমজান ও ঈদের আগে বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply