পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ একরামুল হক মুন্না
বোদায় পল্লী চিকিৎসক রোগ নির্নয় না করে ঔষধ দেওয়ায় রশিদুল নামের ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে ঝলইশালশিড়ি ইউনিয়নের চশপাড়া গ্রামে। সে উক্ত এলাকার শাহিরুলের ছেলে। এ ঘটনায় বায়েজিদ নামের শাহিরুলের ১ বছরের শিশু সন্তান ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জাঁ লড়ছে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাকে ৭২ ঘন্টার নিবির পর্যবেক্ষণে রেখেছন।
পরিবারের মানুষজন জানান, গত শুক্রবার বিকালে কালিয়াগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক মোতালেবের দোকান হতে শাহিরুল গ্লোব ফার্মার পল নামের একটি সিরাপ নিয়ে আসেন। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে দুই শিশুকে সে সিরাপ খাওয়া হলে ছোট ছেলে বায়েজিদ বমি করতে থাকে। এর কিছুক্ষন যেতে না যেতেই মুখ ও নাক দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। তার কিছুক্ষনের মধ্যে মৃত রশিদুলের অবস্থা খারাপের দিকে যায়। তাৎক্ষনিক তাদের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রশিদুলকে মৃত ঘোষনা করেন। আর ছোট শিশু বায়েজিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত রশিদুলের পিতা শাহিরুল জানান, আমি আমার ছেলেদের অসুস্থতা বোধ করলে আমি কালিয়াগঞ্জ বাজারে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক মোতালেবের পরামর্শে তার দোকান হতে পল সিরাপ এনে তাদের সেবন করাই। খাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে তাদের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরে বাসা হতে বোদা হাসপাতালে নিয়ে যাই। আর সেখানে বড় ছেলে রশিদুলকে মৃত ঘোষনা করেন ডাক্তার।
এ ঘটনার পর হতে পল্লী চিকিৎসক মোতালেব গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
পরে তার মুঠো ফোনে মোতালেব বরেন্দ্র নিউজকে বলেন,ঐ পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চিকিৎসা নেন। গত কাল সে তার দুই ছেলের জ্বরের কথা বললে আমি তাকে গ্লোব ফার্মার পল সিরাপ দেই।
তবে প্রভাষক আকবর আলী ও দবিরুল জানান, মোতালেব বাজারেও দোকান করলেও তার নেই কোন ঔষধের লাইসেন্স। তবে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখ জনক। আমরা প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবী করছি।
ঝলইশালশিড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, ঘটনাটি অত্যান্ত হৃদয় বিদারক। নিহত পরিবারটি অত্যান্ত গরিব। মৃত শিশুটি দীর্ঘদিন ধরে রক্ত শুন্যতা ভুগছিল। এ নিয়ে তার পিতা সবার কাছে সহযোগীতা নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। তবে যদি সিরাপ হতে এটি ঘটে থাকলে তার পরিক্ষা করে দেখা দরকার।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, ঘটনাটি আমাকে ব্যতিত করেছে। আমরা নিহত শিশুর ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড়ে পাঠিয়েছি। আর সিরাপটি জব্দ করা হয়েছে। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply