ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভোলাহাট থানায় গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার মামলা করায় তিন আসামি মামলার বাদি ও সাক্ষীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মামলার বাদি বিএনপি ভোলাহাট উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুর রশিদ।
বুধবার (৯অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার আম ফাউন্ডেশনের ভিতর এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার বাদি সুরানপুর গ্রামের বিএনপি উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুর রশিদ। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার কাছে চাঁদা ও আমাকে হত্যার চেষ্টা করায় গত ০৩/১০/২০২৪ ইং তারিখ ভোলাহাট থানায় ঘটনার সাথে জড়িত ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করি। এজাহার ভূক্ত একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, এজাহার নামীয় ৩৩ নং আসামী মোঃ হালিম (৪০), পিতা মোঃ মোস্তফা, ৩৬ নং আসামী মোঃ আলিম (৫০), পিতা মৃত হোসেন আলী, ৩১ নং আসামী মোঃ সাইদুর রহমান (৫৫), পিতা মধু সেখ সর্ব সাং- সুরানপুর, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকেসহ মামলার সাক্ষীদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে জানে মেরে ফেলবে। এমনকি মামলার পর দিন ৪ অক্টোবর সুরানপুর বাজারে বিএনপি অফিসে এসে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ভাঙ্গচুর করে এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসহ আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,আমি আইনের আশ্রয় নিতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবারসহ মামলার সাক্ষী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দেশের পট পরিবর্তন হওয়ার পরও বিএনপির অফিস, বিএনপির কর্ণধর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙ্গচুর করে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমন সময় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি প্রশাসনের সর্বচ্চো মহলের কাছে দোষীদের বিচার দাবী করেছেন। এ সময় মামলার সাক্ষী মো. বাবুল ও ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply