নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে ও নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানাতে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া র্যালিতে প্রায় ১০ হাজার জাতীয় পতাকাসহ শিক্ষার্থী, শিশু বৃদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শিক্ষক, শ্রমিক, জনপ্রতিনিধি, সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ দিন জাতীয় সংগীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বিজয় র্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক। জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদ মিনাওে এসে শেষ হয়।। এ সময় সকলের হাতে লাল সবুজ পতাকা ছিল। এ বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালির মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান মালার সূচনা হল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌসী ইসলাম জেসী এমপি, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপি। র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম তাজকির-উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবেন্দ্র নাথ, পৌর ময়ের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. ইকবাল হোছাইন, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল হাকিম, চেম্বারের সভাপতি আলহাজ্ব এরফান আলীসহ জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহাকাব্যিক নেতৃত্বে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালি অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয়। এ ছাড়া ৭ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক দেয়ালিকা উৎসব-২০১৯ গত বছরের ন্যায় এবারেও অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলা থেকে শ্রেষ্ঠ ১২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে দেয়ালিকা প্রদর্শনী নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। দেয়ালিকা উৎসব-২০১৯ এর বিষয় হচ্ছে “মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ”।
নতুন এবং সৃজনশীল এই লেখনিতে ফুটে উঠবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবগাথা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বাঁধন এর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে রক্তের গ্রুপ জানার জন্য বিনামূল্যে উপস্থিত সকলের ব্লাড গ্রুপিং কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় চরমপত্র পাঠ করা ছিল একটি আনন্দের বিষয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ স্বাধীন বাংলা বেতারে এই চরমপত্র শুনে হতেন উজ্জীবিত। সেই প্রেক্ষিতে গত বছরের মতো এবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলা থেকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কৃত ৩জন করে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চরমপত্র পাঠ প্রতিযোগিতা নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।-কপোত নবী।
Leave a Reply