শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে মহানন্দা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ৩টি মোটরসাইকেলসহ অন্তঃজেলা চোর চক্রের ৪জন গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ঢাকাস্থ ভোলাহাট উপজেলা সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত -বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিশিষ্টজনদের সম্মানে জামায়াতরে ইফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জন গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে সাংবাদিকদের সাথে ইফতার করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেক-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সাংবাদিকদের সাথে ইফতার-বরেন্দ্র নিউজ কুড়িগ্রামে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে চান হুসেন আলী-বরেন্দ্র নিউজ
তানোরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর অবশেষে পুত্র সন্তান প্রসব পিতা হবে কে?-বরেন্দ্র নিউজ

তানোরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর অবশেষে পুত্র সন্তান প্রসব পিতা হবে কে?-বরেন্দ্র নিউজ

তানোর প্রতিনিধি : দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে বাচ্চা প্রসব। কিন্তু পিতার পরিচয় দিচ্ছেনা কেউ। চেয়ারম্যান মেম্বার ও ক্ষমতা সীন দলের নেতার রফাদফা, পায় নি সালিশের টাকাও। জরিমানা করা হয়েছিল লম্পটদের। সেই টাকারও নেই হুদিশ। বিচারক নেতারা ব্যাপক ঠাট্টা করছেন ঘটনাটি নিয়ে। কি অমানবিক অবস্থায় দিন পার করছেন ২৩ দিনের পুত্র সন্তান কে নিয়ে।
টাকার অভাবে সময়মত ডেলেভারি করাতে পারছিলেন না দরিদ্র অসহায় ভিকটিমের মা। কিনা করুন অবস্থা টিন সেটের ছোট ঘর, নেই বিদ্যুৎ, চরম দূর্বিসহ জীবন যাপন করছেন ফুটফুটে পুত্র সন্তান নিয়ে। অথচ লম্পট শামিম, পলাশ, বিচারক ইউপি সদস্য টিয়া, নামধারী নেতা একরামুল আরাম আয়েশে দিন পার করছেন। রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির দুবইল সাহাপুর হঠাৎ পাড়া গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন অমানবিক ঘটনা। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা মানবেতর জীবন যাপন করলেও এসব কান্ডে জড়িত রা উৎফল্লিত।
বাচ্চা পেটে আসার পর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান বিচার না করে সাব জানিয়ে দেন বাচ্চা প্রসব হলে ডিএনএ টেস্ট করে কে পিতা পরিচয় জানার পর সালিশ বিচার করা হবে।
বুধবার দুপুরের আগে সরেজমিনে সাহাপুর গ্রামে ছোট চায়ের দোকানে নেতা একরামুল হকসহ বেশকিছু লোকজন বসে ছিল। সেখানে বসে ভুক্তভোগী মেয়ের বাচ্চার খোঁজ খবর নিতে চাইলে অনেকেই থো মেরে যান। আবার কেউ কেউ বলেন এটা অমানবিক। মেয়েটার বিয়ে হয়েছিল ভালো জায়গায় এদের জন্য সেই ঘরটাও ভেঙে গেল। সেখান থেকেই উঠতেই নেতা একরামুল কে অনেকে বলেন আকিকা দেওয়ার ব্যবস্হা কর। একরামুলও তাদের বলেন চাঁদা তোল আকিকা দেওয়া হবে। যাওয়া হয় ভুক্তভোগীর বাড়িতে। ভুক্তভোগীর মা বাহিরে ছিলেন। ভিকটিম তার ২৩ দিনের পুত্র সন্তান কে ঘরের মেঝেতে রেখেছেন। আমাদেরকে দেখেই কান্না শুরু করেন। ভুক্তভোগীর মা জানান, এসব ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ হয়। সালিশে লম্পট শামিম ও পলাশের দু লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সালিশের দিন মাত্র ২০ হাজার টাকা দেয়। এরপর আর কোন খোঁজ নেয়। ইউপি সদস্য টিয়া ও নেতা একরামুল লম্পটদের হয়ে সবকিছু করছে। টাকার অভাবে নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি না করাতে পেরে পানির সল্পতা দেখা দিয়েছিল। বাধ্য হয়ে সিজার করতে হয়েছে। তার মা আরো জানান, এখন এই বাচ্চার বাবা হবে কে, নাকি বাবা পাওয়া যাবেনা। আমরা গরীব অসহায় এজন্য বিচার পাব না। উল্টো আমাদের কেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বাড়ি উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে দিবে। আমি তো মা, একজন মা কি করে সন্তান কে ফেলে দিবে। প্রথমে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু মেম্বার টিয়া সেই বিচার না মেনে পুনরায় গ্রামে বিচার করে লম্পট শামিম ও পলাশের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু সেটা নিয়েও নয়ছয়। কিছুই বলার নেই। কোন কিছু বলতে গেলেই মেম্বার ও একরামুল নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আমার মেয়েকে নানা অপবাদ দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাকে ও নিষ্পাপ ২৩ দিনের বাচ্চাকে নিয়ে খেলা শুরু করেছেন। গরিব অসহায় রা তাদের খেলার পাত্র। বিচার করে যে জরিমানা করা হয়েছিল সেটাও তসরুপ করা হচ্ছে। আমাকে সাহাপুর গ্রামের পলাশ ও শামিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। চেয়ারম্যান মতিন ডিএনএ টেস্ট করে কে পিতা তারপর বিচার করবেন। কিন্তু কারো দেখা নেই। আমি অপরাধী হতে পারি, কিন্তু নিষ্পাপ সন্তান কি দোষ করল, যে কেউ বাবা হতে চাচ্ছে না। কে পিতা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি শামিমের নাম বেশি বলেন। আবার পলাশেরও নাম বলেন। তিনি নিষ্পাপ সন্তানের পিতার পরিচয় চান এবং এদুজনসহ বিচারকদেরও শাস্তি চান।
তবে মেম্বার টিয়া জানান, আমি জনপ্রতিনিধি এলাকার সমস্যা হলে কিংবা কেউ ডাকলে যেতে হবে। আমি সালিশও করিনি, টাকাও দিই নি।তারা নিজেরাই নিজেরাই সালিশ করেছে। আপনি সালিশ করে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন ভুক্তভোগী ও তার মা বলেছে জানতে চাইলে তিনি থমকে গিয়ে বলেন এটাতো শেষ হয়ে গেছে, আবার এসব নিয়ে কথা হবে কেন বলে দায় সারেন।
ভুক্তভোগীর বাড়ির পশ্চিমে শামিমের বাড়ি, তাকে ডাকা হলে দরজা খুলে ক্যামেরা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান। তার স্ত্রী এসে আবল তাবল কথাবার্তা বলা শুরু করেন এবং তিনি জানান আমার স্বামী ওই বাচ্চার পিতা কেন হবে, কি প্রমাণ আছে, ওই মেয়ে মেম্বারের কাছে গিয়ে বলছে সন্তানের পিতাও চায়, জরিমানার টাকাও চাই। এজন্য কিছুই পাচ্ছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT